দেওয়াল হোক বা দরজা-জানালা, কিংবা বইয়ের তাক— উইপোকা এক বার ঘরে ঢুকলে তাদের মারা বেশ কঠিন। রাসায়নিক স্প্রে করলে কিছু দিনের জন্য হয়তো নির্মূল হয়, তবে আবার ফিরে আসে। আসলে অনেক সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেঁধিয়ে যায় পোকা। উইপোকা ঘরদোরের বেশি ক্ষতি করার আগেই সেগুলিকে তাড়ানো জরুরি। কিন্তু কী দেখে বুঝবেন ঘরে উইপোকা হয়েছে?
১। কাঠের জানলা, দরজার পাল্লা বা দেওয়ালে সরু লম্বা মাটির লাইন তৈরি করে উইপোকা। দরজার নীচ থেকে উপরের দিকে ওঠে সেটি। উইয়ের তৈরি করা এই আকাবাঁকা লাইন দেখেই বোঝা যায় পোকাটির উপস্থিতি। এগুলি ভেঙে দিলেও কিন্তু এই পোকা পুরোপুরি তাড়ানো যায় না। বরং খোঁজা দরকার উইপোকার আসল ঘাঁটি কোথায়, সেটি যদি নষ্ট করা যায় তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

উইপোকার উপস্থিতি বোঝা যায় এমনটা দেখেও। ছবি: সংগৃহীত।
২। কাঠের আলমারির তাক থেকে কি গুঁড়ো গুঁড়ো ঝরে পড়ছে? একদিন পরিষ্কার করছেন, তার দু’দিন পরেই একই অবস্থা হচ্ছে? এটিও কিন্তু উইপোকার কীর্তি হতে পারে। অলক্ষেই কাঠের আলমারি বা তাকের মধ্যে ঘাঁটি গাড়ে তারা। কাঠের চেয়ার-টেবিলের মধ্যে ছিদ্র করে সেঁধিয়ে যায় উইপোকা। তার ফলেই কাঠের গুঁড়ো পড়তে থাকে।

কাঠের রেলিং, আসবাব থেকে এমন গুঁড়ো পড়ছে কি? উইপোকা হলেও এমন হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন:
৩। দেওয়ালে ওয়ালপেপারের কোনও অংশ বা বাঁধানো ছবি হালকা ফুলেফেঁপে উঠেছে? উইপোকার দল এমন জায়গাতেও বাসা বাঁধে। তার প্রকাশ পাওয়া যায়, দেওয়ালের এমন চিহ্ন দেখলে।
৪। কাঠের দরজা, আলমারির পাল্লায় টোকা দিলে ফাঁপা আওয়াজ আসছে? উইপোকা অনেক সময় দরজা, জানলা বা কাঠের পাল্লার ভিতরের অংশ খেয়ে নষ্ট করে দেয়। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও ভিতর থেকে সেটি ফাঁপা হয়ে থাকে। এমনটা হলে বুঝতে হবে উইপোকা সেই পাল্লার অনেকটাই ক্ষতি করে ফেলেছে।
৫। কাঠের তাক বা টেবিলে ছোট ছোট ছিদ্র দেখলেও সাবধান হওয়া দরকার। কাঠে ছোট ছিদ্র করে ঢুকে পড়ে তারা। তার পর ক্ষতি করে জিনিসপত্রের।