পুরনো বাড়ি, স্নানঘর বড্ড অন্ধকার আর স্যাঁতসেতে। তাই বাড়ি সারাইয়ের পাশাপাশি নতুন, যুগপোযোগী করে সেটি তৈরি করতে চান? দামি টাইলস, মেঝের জন্য মার্বেল তো বেছেছেন, কিন্তু শুধু সেগুলিই কি জরুরি? আমেরিকার নির্মাণকাজ উপদেষ্টা ইয়ারিন গনির কথায়, স্নানঘরের সৌন্দর্যে নজর দিতে গিয়ে অনেক সময় সাধারণ ভুল হয়ে যায় তৈরির সময়। ছোট পরিসরে স্নানঘর তৈরি করার সময় জায়গা নিয়ে পরিকল্পনা করা রীতিমতো কঠিন মনে করেন তিনি।
কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার?
আলো-হাওয়া চলাচলের বন্দোবস্ত: স্নানঘর ভীষণ স্যাঁতসেতে জায়গা। সেখানে যদি ঠিকমতো বাইরের আলো-হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা না থাকে, স্নানঘর অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়বে। গুমোট ভাব থাকবে ভিতরে। দুর্গন্ধও বেশি হতে পারে। সমস্যার সমাধান করতে পারে ভাল মানের ‘এক্সজ়স্ট ফ্যান’। অথচ স্নানঘরের শৌখিনতায় নজর দিলেও অনেকেই ফ্যান লাগান না। এ ছাড়া ঘুলঘুলি বা জায়গা থাকলে একটি বড় জানলা সমস্যার সমাধান করতে পারে।
নোনা ধরা থেকে সুরক্ষা: স্নানঘর মানেই সেখানে অনবরত জল পড়বে। যদি পাইপলাইন ঠিক না থাকায় অতিরিক্ত জল পড়ে, মেঝেতে জল বসে, তা হলে তা থেকে দেওয়ালে নোনা ধরতে পারে। তাই নির্মাণকাজের সময় মেঝের ঢাল ঠিক রয়েছে কি না দেখার পাশাপাশি ভাল মানের কলকব্জা, জলনিরোধী রং ব্যবহার করা দরকার।
আদৌ কাজের তো? শখ-শৌখিনতার দিকে নজর দিতে গিয়ে অনেকেই এমন শাওয়ার, বাথটব বা কল পছন্দ করেন যেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করতে গেলে নষ্ট হতে পারে। শৌখিন অথচ তেমন শক্তপোক্ত নয়, এমন জিনিস দাম দিয়ে কেনার আগে সতর্ক থাকা দরকার।
জিনিসপত্র রাখার জায়গা: স্নানঘরে জরুরি জিনিসপত্র গুছিয়ে না রাখলে শখ পূরণের সম্ভাবনাই নষ্ট। তোয়ালে রাখার সংস্থান, সাবান-শ্যাম্পু রাখার তাক, আয়না, হুকের মতো জিনিসগুলি কোথায় কী ভাবে রাখা যায়, তার সঠিক পরিকল্পনা জরুরি।
ভবিষ্যৎ ভাবনা: অনেকেই তাৎক্ষণিক বিচারে স্নানঘরের নকশা, জিনিস কেনেন। কিন্তু স্নানঘর বার বার তৈরি হবে না। তার জিনিসপত্রও চট করে পাল্টানো সহজ নয়। সে কারণে চওড়া দরজা বা এমন নকশা এবং সুবিধাযুক্ত শাওয়ার লাগানো দরকার, যা কয়েক বছর পরেও ব্যবহারযোগ্য থাকবে।