দীপাবলিতে ঘর সেজে উঠুক আলোর ছোঁয়ায়। ছবি: সংগৃহীত।
কারও কাছে দীপাবলি তো কেউ ‘দিওয়ালির’ শুভেচ্ছা জানাতে বেশি স্বচ্ছন্দ। উৎসবের নাম যাই হোক, উদ্যাপন তো একই থাকে। দুর্গাপুজোর রেশ এখনও বাঙালির মনে জ্বলজ্বল করছে। উৎসব শেষের মনখারাপ হওয়ার আগেই দীপাবলি কড়া নাড়ছে দরজায়। আলোর উৎসব উদ্যাপন জমকালো না হলে চলে! খাওয়াদাওয়া, পোশাক, সাজগোজে তো উৎসবের ছোঁয়া থাকবেই। তবে ঘরের সাজেও যেন উৎসবের ইঙ্গিত থাকে। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে উৎসবের আলো এসে না পৌঁছলে উদ্যাপন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তা ছাড়া দীপাবলিতে অনেকর বাড়িতেই আড্ডার আসর বসে। দীপাবলির আগে কী ভাবে ঘর সাজালে অতিথিরা খুশি হবেন, রইল তার হদিস।
রঙিন প্রদীপ
দীপাবলির দিন অনেকের বাড়িই মাটির প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে। সাবেকি ধাঁচে বাড়ি সাজাতে চাইলে মাটির প্রদীপ, মোমবাতির কোনও বিকল্প নেই। তা ছাড়া এখন বিভিন্ন রং এবং বিভিন্ন নকশার প্রদীপ পাওয়া যায়। অনেক সময় প্রদীপের মধ্যে বসানো থাকে মোমবাতি। তেল, সলতে দিয়ে জ্বালতে না চাইলে এগুলি কিনে নিতে পারেন।
দিওয়ালি লন্ঠন
দীপাবলির আগে আসে ভূতচতুর্দশী। তাই বাড়ির সাজেও একটা আলো-আঁধারি ব্যাপার থাক। রাজবাড়ির মতো না হলেও বাজারে অনেক বাহারি লন্ঠন পাওয়া যায়। লন্ঠনের আলোয় ঘর ভরে উঠলে মন্দ লাগবে না। বাজারে রাজস্থানি বা তিব্বতি নকশার সুন্দর লন্ঠন পাওয়া যায়। সেগুলি কিনতে পারেন।
ফ্লোটিং ফ্লাওয়ার
জলের মধ্যে ফুল ভাসানোর রীতি রাজাদের আমল থেকে চলে আসছে। তেমন করে সাজালোও সুন্দর দেখতে লাগবে। তবে এখন জলের উপর রাখলে প্লাস্টিকের বাহারি ফুলেও আলো জ্বলে। সেগুলি দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন।
রঙিন কাপড়
ফুল, আলোর মতোই ঘর সাজানো যেতে পারে রঙিন কাপড় দিয়েও। বিভিন্ন রঙের সিল্ক বা নেটের কাপড়, নেটের ও়ড়না দিয়ে সিলিং সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। নানা রঙের কাপড় গোল করে ফুলের আকারে লাগিয়ে মাঝখানে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সুন্দর লন্ঠন। অথবা ফুল, কাপড় ও লাইটের চেনও পরপর সিলিং জুড়ে সাজাতে পারেন। সিঁড়ির হাতলেও জড়িয়ে নিতে পারেন এ ভাবে।
Post: দীপাবলির আলো ছড়িয়ে পড়ুক ঘরের সাজেও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy