নতুন বাড়ি, নতুন হেঁশেল। সেই কবে থেকে একটা একটা করে বাসন কিনেছেন। পোর্সেলিনের চায়ের কাপ-প্লেট থেকে সান্ধ্যভোজের শৌখিন পাত্র, কাচের গ্লাস। সে সব সাজিয়ে রাখার পরেও যেন রান্নাঘরের সাজে কিছু একটা নেই মনে হচ্ছে? কেন এমন হতে পারে?
১. কিচেন ক্যাবিনেটের রং বাছাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কোনও রং যেমন উজ্জ্বল হলে চোখের পক্ষে আরামদায়ক হয় না, কোনও রং তেমন বেমানানও হতে পারে। পাশাপাশি ক্যাবিনেট তৈরির সময় তার হাতল, আনুষঙ্গিক বিষয়গুলিতে নজর না দিলেও এমন হতে পারে। সাধারণ স্টিলের হাতলের বদলে যদি কাঠের শৌখিন কিছু ব্যবহার করা যায়, তা হলে খরচের তেমন হেরফের না হলেও রান্নাঘরের সৌন্দর্য বাড়তে পারে।
২. অনেক সময় ক্যাবিনেট বা রান্নাঘরের জিনিসপত্র রাখার তাক এবং আলমারির জন্য খরচ করলেও, আলোর ভুল ব্যবহার সেই জৌলুস নষ্ট করে দিতে পারে। বহু বাড়িতেই মাথার উপর একটি উজ্জ্বল আলো লাগিয়ে ভাবা হয়, সেটাই যথেষ্ট। কিন্তু অন্দরসজ্জায় আলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে আর তা হেঁশেলের জন্যও প্রযোজ্য।
৩. পুরনো দিনের ল্যামিনেশন বা এমডিএফ ক্যাবিনেটও এখন আর নজর কাড়তে পারে না। বদলে যে খরচটা করছেন, সেটা বুঝে সাম্প্রতিক ভাবনার বাস্তবায়ন করা যায়। কাঠের ক্যাবিনেট বা এই সময়োপোযোগী এমন কোনও ক্যাবিনেট বেছে নিতে পারেন।
৪. রান্নাঘরে যে জায়গাটিতে গ্যাস অভেন রয়েছে সেই জায়গা এবং তার আশপাশেও নজর দেওয়া দরকার। হেঁশেলে ঢুকলে প্রথম নজর যায় সেখানেই। অনেকে এই অংশে ব্যবহৃত পাথরের জন্য বেশি খরচ করেন না। কেউ আবার এ নিয়ে ভাবেন না। এই অংশে যদি সুদৃশ্য নকশাদার মার্বেল, গ্রানাইট বা সময়োপোযোগী কিছু ব্যবহার করা হয়, তা হলে তা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
৫. রান্নাঘরে মেঝে এবং টাইল্সেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তার রং, নকশা পুরনো আমলের হলে আধুনিক রান্নাঘরের সঙ্গে তা মিলবে না। ফলে সেটি নিয়েও ভাবা দরকার। আর এ সব ছাড়াও হেঁশেল পরিচ্ছন্ন রাখলে, সঠিক ভাবে সাজালে তবেই তা দৃষ্টিনন্দন হবে।