Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
SUMMER

তীব্র গরমে জলের অভাব হলেই বিপদ! প্রয়োজনের তুলনায় কতটা কম খাচ্ছেন জানেন?

জলের ঠিক মাত্রা কতটা হওয়া উচিত এটা না জানলে ডিহাইড্রেশনের ভয়ও কিন্তু কাটানো যায় না।

গরমে জলের পরিমাণ কতটা তার উপরই নির্ভর করবে আপনার সুস্থতা। ছবি: শাটারস্টক।

গরমে জলের পরিমাণ কতটা তার উপরই নির্ভর করবে আপনার সুস্থতা। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ১২:৩২
Share: Save:

প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সূর্যের তাপ। তাপপ্রবাহের জেরে ঘেমেনেয়ে একাকর। কাজের সূত্রে সারা দিনের জন্য যাঁদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে, তাঁদের অবস্থা তো আরও দফারফা। চিকিৎসকরা নাগাড়ে পরামর্শ দিচ্ছন ডিহাইড্রেশান থেকে বাঁচতে জলের বোতল মাস্ট।

কিন্তু ঠিক কতটা জল আমাকে খেতেই হবে? অন্য কোনও বিকল্প রয়েছে কি হাতে, এই সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। তাই প্রায়ই জলের ঘাটতি পড়ে, নয়তো বেশি জল খেয়ে ফেলার ঝক্কি পোহাতে হয়। জলের ঠিক মাত্রা কতটা হওয়া উচিত এটা না জানলে ডিহাইড্রেশনের ভয়ও কিন্তু কাটানো যায় না।

পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্তের মতে, ‘‘জলের চাহিদা এক এক জনের শরীরে এক এক রকম। এই পরিমাণটা ২ থেকে ৪ লিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। আবার একই ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর রুটিন অনুযায়ী জলের চাহিদা বদলে যায়। ঘরোয়া পরিবেশে তাঁর চাহিদা হয় এক রকম। বাইরে বার হলে আরেক রকম। তবে তৃষ্ণার্ত বোধ করার আগেই জলের জোগান শরীরের পক্ষে জরুরি। আর ডিহাইড্রেশান থেকে বাঁচতে শরীর থেকে যে পরিমাণ জল বার হচ্ছে, তার সম পরিমাণ জলের সরবরাহ থাকা জরুরি।’’‌

আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের দাম চোখ রাঙাচ্ছে, এ সব উপায়ে গ্যাসের খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয়ী হোন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের পরামর্শ, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে খেতে হবে ২.৭ লিটার জল। মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও এক লিটার বেশি, অর্থাৎ ন্যূনতম ৩.৭ লিটার।

ডাব বা নারকেলের জলও হতে পারে বিকল্প পানীয়।

কী ভাবে বুঝবেন আপনি জল কম খাচ্ছেন

মূত্রের রংই বলে দেবে আপনি প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খাচ্ছেন। ডিহাইড্রেটেড অবস্থায় মূত্রের রঙ হবে হলুদাভ। এছাড়া গ ঝিমঝিম, ক্লান্তি, পেশীতে ক্র্যাম্প সবই শরীরে জল কমে যাওয়ারই চিহ্ন।

আরও পড়ুন: এ সব উদ্ভাবন সহজ করে দিয়েছে আমাদের জীবন, আপনি এখনও ব্যবহার করেননি!

জলের বিকল্প

শিশুদের সবসময় ধরেবেঁধে জল খাওয়ানো মুশকিল হয়। নিজেদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য কখনও সখনও। এ দিকে শরীর জলশূন্য হলে মহা বিপদ। একথা সে ক্ষেত্রে সহায় হতে পারে শসা বা তরমুজের মত ফলগুলি। চলতে পারে বাড়িতে বানানো লস্যিও। মুসুর ডালের জল বা ডাবের জলও খেতে পারেন। এতে শরীরে জলের জোগান বাড়বে। সঙ্গে যাবে আরও কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। তবে রাস্তার লস্যি , কাটা ফলের শরবত? চিকিৎসকরা স্পষ্ট করেই না বলছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE