শিম, বেগুন, মুলো, গাজর, বিট, ধনেপাতা, পেঁয়াজকলি— শীতের সব্জির তালিকাটা লম্বা। এত সব্জি ফ্রিজে রাখতে গেলেই সমস্যা হয়। সব্জি অনেক হলেও, এক দু’দিনেই তা খেয়ে ফেলা যায় না। দেখা গেল, ১০-১২ দিনেও মুলোটা খাওয়া হয়ে উঠল না, কিংবা ফ্রিজের কোণে ধনেপাতা শুকিয়ে পচে গেল।
সব্জির টাটকা-তাজা ভাব বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত বজায় রাখা সম্ভব, সঠিক সংরক্ষণের কৌশলেই। ঠিক ভাবে তা রাখতে পারলে ফল থেকে সব্জির টাটকা ভাব বজায় থাকবে ৮-১০ দিনও। জেনে নিন কৌশল।
আঙুর: ফ্রিজে রাখলে আঙুর বেশি ভাল থাকে। তবে তা রাখার কৌশল রয়েছে। আঙুর না ধুয়ে জিপ লক ব্যাগে রাখুন। তবে সেই ব্যাগে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে। এ ভাবে ফল বেশ কিছু দিন তাজা রাখা যায়। আঙুর খাওয়ার আগে ধুয়ে নিতে হবে।
পেঁয়াজকলি: প্রথমে পেঁয়াজকলি ধুয়ে নিন। বড় শিকড় থাকলে সেটি কেটে পরিষ্কার করে ফেলুন। জল ঝরিয়ে রাখুন। ফ্রিজে ধরবে এমন কাপে অল্প একটু জল নিয়ে পেঁয়াজকলি তার মধ্যে রেখে দিন। গোড়ার দিকটি তলায় থাকবে। উপর থেকে পরিষ্কার একটি প্লাস্টিক হালকা করে চাপা দিয়ে দিন। এ ভাবে ফ্রিজে রাখলে দিন দশেক বা তারও বেশি সময় তাজা থাকবে।
গাজর: গাজর ধুয়ে উপরের সবুজ অংশ কেটে ফেলুন। একটি বায়ুনিরোধী পাত্রে অল্প জল দিয়ে গাজর রেখে ঢাকা দিয়ে দিন। এতে গাজর চট করে শুকিয়ে যাবে না। উপায় আছে আরও। বেশি দিন ভাল রাখতে হলে জ়িপ লক ব্যাগে টিস্যু পেপার ভরে তার মধ্যে গাজর রাখুন। এগুলি ধুয়ে রাখার দরকার নেই। ফ্রিজে দিন ১৫-২০ এটি ভাল থাকবে। টিস্যু পেপার গাজরের আর্দ্র ভাব শুষে নেবে, সব্জিটি চট করে খারাপ হবে না।
মাশরুম: মাশরুমও দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন যদি তা ভাল রাখতে হয়ে কাগজে মুড়িয়ে প্লাস্টিকে ভরে রাখুন। কাগজ বাড়তি আর্দ্রতা টেনে নেবে। মাশরুম চট করে খারাপ হবে না।
কমলালেবু: কমলালেবু বেশ অনেক দিন টাটকা রাখার উপায় হতে পারে জিপলক ব্যাগ। অনেক খাবার সংরক্ষণ করতেই জ়িপলক ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। জিপলক ব্যাগে লেবুগুলি ভরে জ়িপ আটকে ফ্রিজে রাখুন। লেবু ভাল থাকবে।