রান্নায় পেঁয়াজ-রসুন পড়লে স্বাদ বাড়ে— এ কথা যেমন ঠিক, তেমন এ-ও ঠিক যে, প্রত্যেক বার রান্না করার সময় পেঁয়াজ-রসুন কাটতেই যত কুঁড়েমি ভর করে। আসলে পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়ানোই ঝক্কির ব্যাপার। সেই কঠিন কাজটি কোনও মতে সারার পরেও বাকি থাকে কুচনো এবং বেটে নেওয়ার কাজ। বিষয়টি নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ। তবে একটি উপায়ে সময় বাঁচাতে পারেন।
অনেকেই রসুন আগে থেকে বেটে ফ্রিজে রাখেন। তবে সেই বাটা রসুন বেশি দিন ভাল থাকে না। তার বদলে যদি রসুন বা পেঁয়াজের পাউডার বানিয়ে রাখা যায়, তবে তা দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে, পাশাপাশি ব্যবহার করাও সহজ হবে।
কী ভাবে বানাবেন?
১। রসুন এবং পেঁয়াজের পাউডার বানানোর জন্য প্রথমেই রসুন এবং পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে সেগুলিকে কুচিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ সরু করে কেটে নিন। রসুনগুলিও চপারে কুচিয়ে নিন। খুব মিহি না হলেও চলবে।
২। রসুন এবং পেঁয়াজ রোদে শুকোতে দিন দু’টি আলাদা আলাদা থালায়। প্লাস্টিকের থালা ব্যবহার না করে কাঠ, মাটি, স্টিলের থালাও ব্যবহার করতে পারেন। উপরে নরম এবং পরিষ্কার কাপড় চাপা দিয়ে রাখুন। তাতে ধুলো পড়বে না।
৩। টানা ২-৩ দিন রোদে শুকনোর পরে যদি দেখেন রসুন এবং পেঁয়াজের রস সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে নরম ভাব আর নেই, তবে সেগুলিকে তুলে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে মিক্সিতে ঢেলে ভাল করে গুঁড়িয়ে নিন।
৪। কাচের বায়ুরোধক পাত্রে ঢেলে রেখে দিন। রোদে শুকনো পেঁয়াজ এবং রসুনের গুঁড়ো ফ্রিজে না রাখলেও ভাল থাকবে। তবে খুব বেশি দিন ধরে ব্যবহার করতে চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
তরকারি, স্যুপ, নুড্লস বা যে কোনও রান্নাতেই রসুন বা পেঁয়াজের গুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বাদে ফারাক হবে না। তবে পরিমাণ বুঝে ব্যবহার করুন। এক চামচ রসুনগুঁড়ো এক চামচ রসুন বাটার থেকে পরিমাণে অনেকটা বেশি। তার কারণ, রসুন বাটায় জল থাকে। যা গুঁড়োনো রসুনে থাকে না। তাই অল্প ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত স্বাদ মিলবে।
বাজারে পাওয়া যায়, তবে...
রসুন বা পেঁয়াজের পাউডার বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। তবে প্যাকেটজাত সেই পাউডার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য তাতে প্রিজ়ারভেটিভের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা বাড়িতে তৈরি করা রসুন বা পেঁয়াজের পাউডারে থাকবে না।