গলায় সংক্রমণ ও ব্যথাকে অবহেলা নয়। ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষায় বৃষ্টি ভিজে ঠান্ডা লাগা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অনেক সময় ভিজে শরীরে অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এসি-র মধ্যে থাকলে ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হয়। টনসিলের সমস্যাও বাড়ে। ঢোক গিলতে গেলেও খুব কষ্ট হয়। সাধারণত, সর্দি-কাশির জন্য দায়ী বায়ুবাহিত জীবাণুরাই থাকে এর পিছনে। টনসিলের সংক্রমণ দু’-এক দিনে কাটেও না। এই সংক্রমণ কমাতে ওষুধের চেয়েও বেশি প্রয়োজন যত্ন।
মুখগহ্বরে জিভের শেষের দিকে গলার দু’পাশে যে গোলাকার অংশ দেখা যায়, তা-ই টনসিল। মূলত, মাংসপিণ্ডের মতো দেখতে হলেও এটি আদতে টিস্যু বা কলা। মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয় এই টনসিল। তাই টনসিল আক্রান্ত হলে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে, বাড়ে অন্যান্য অসুখের ভয়ও।
প্রয়োজন পড়লে ওষুধ তো দরকার, তবে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেও সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দেখে নিন সে সব কী কী।
আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে সাদা পাউরুটি খাচ্ছেন? কী বিপদে পড়ছেন, জানেন?
শিশু ঘুমোতে চায় না? দেখে নিন সহজে ঘুম পাড়ানোর উপায়
লেবুর রস: চিকিৎসকদের মতে, লেবু শরীরের টক্সিন দূর করতে খুব উপকারী। তাই টনসিলে সংক্রমণ হলে বা গলায় ব্যথা হলে ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু ওসামান্য নুন ভাল করে মিশিয়ে নিন। নুন অ্যান্টি সেপটিক। তাই শরীরের অভ্যন্তরের সংক্রমণে নুন খুব কার্যকর। এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সমস্যা কমবে সহজে।
হলুদ: কান-কান-গলা বিশেষজ্ঞ শীর্ষক দত্তর মতে, হলুদের জীবাণুরোধক ক্ষমতা অপরিসীম। হলুদ টিস্যুকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। তাই গলার ব্যথা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে এর ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে এক কাপ দুধে সামান্য হলুদ মেশান। তার পর সেই দুধ ফুটিয়ে গরম গরম খান। এই হলুদ মেশানো দুধ টনসিলের সংক্রমণ বা গলা ব্যথার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
গরম ভাপ: গরম জলে সামান্য নুন ফেলুন। এ বার কান-মাথায় ভাল করে জড়িয়ে নিন মোটা কোনও কাপড়। তার পর পাখার তলা থেকে সরে গরম জলের ভাপ নিন। দিনে বার দু’য়েক এমনটা করতে পারলে ভাল। এতে খুব সহজেই কমে গলার ব্যথা।
মধু-চা: গলা ব্যথা বা টনসিলের সমস্যা হলে গ্রিন টি-র মধ্যে দু’ চামচ মধু মিশিয়ে ফোটান। মধুর অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল উপাদানের সঙ্গে গ্রিন টি-র অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান মিশে টনসিলকে আরাম দেয়। ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমাতেও এই ঘরোয়া উপায় অত্যন্ত কার্যকর।
তবে ঘরোয়া উপায়ে না কমলে, ধরে নিতে হবে, সংক্রমণ বেশ বড় আকারে ছড়িয়েছে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকদের শরণ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy