মৃত্যু তালিকায় যোগ হল আর তিন জন। সব মিলিয়ে আজ রাজধানীতে ডেঙ্গির হানায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। ৪১ বছর বয়সি এক মহিলার পাশাপাশি আজ প্রাণ হারিয়েছে দু’টি শিশুও। এক জনের বয়স ১৪ আর অন্য জন ৭। হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর লাইন ক্রমশ দীর্ঘ হলেও দিল্লির এ বছরের ডেঙ্গি ভাইরাস ২০১৩-র মতো ততটা ভয়ঙ্কর নয় বলে আশ্বাস দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। তাদের দাবি, এ বারের ভাইরাস তুলনামূলক ভাবে দুর্বল প্রকৃতির এবং প্রাণহানির আশঙ্কা কম।
কিন্তু প্রশাসন খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। কারণ হাসপাতালে স্থানাভাব। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন শ’খানেক রোগী। স্থানাভাবে ইতিমধ্যেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে অন্য বিভাগে। তার মধ্যে যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে এত রোগীর চিকিৎসা কী ভাবে করা সম্ভব— সেটাই চিন্তা প্রশাসনের। হাসপাতালের তরফে গাফিলতির কারণে পরপর শিশুমৃত্যুর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, আর ঝুঁকি নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল আপৎকালীন ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ ও রোগীদের জন্য শয্যা কিনতে পারবে বলে জরুরি নির্দেশ জারি করেছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার।
পরিস্থিতি জটিল হলেও ডেঙ্গি নিয়ে যাতে অযথা আতঙ্ক না ছড়ায়, তার জন্য আইএমএ কর্তাদের আশ্বাস, এ বার ততটা উদ্বেগজনক অবস্থা তৈরি হয়নি। তাঁদের মতে, অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিৎসা ঘরে বসেই সম্ভব। কিন্তু একের পর এক মৃত্যুতে লোকের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাই কেউ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। ডেঙ্গির সামান্য উপসর্গ দেখলেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিচ্ছেন। আইএমএ সেক্রেটারি জেনারেল কে কে অগ্রবাল বলেন, ‘‘একমাত্র যাদের প্লেটলেট নির্ধারিত মাত্রার নীচে নেমে যাচ্ছে, তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। অযথা সকলে হাসপাতালে ভর্তি হলে দরকারের সময় প্রকৃত রোগী চিকিৎসা পাবে না।’’ তা ছাড়া তাঁর দাবি, ‘‘চলতি মরসুমে ডেঙ্গি ভাইরাসের যে চরিত্র দেখা যাচ্ছে, তার মারণ ক্ষমতা কম। তাই সাধারণ মানুষের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।’’