মনোবিদের মতে, ‘‘আসলে সমাজ এই সব সম্পর্ককে বাঁধে সামাজিক ও আর্থিক সুবিধা বুঝে। এই সব জটিলতা এড়াতেই সে নিজস্ব কিছু নিয়ম চালু করে ও সেখানে যৌনতাকেও জুড়ে দেয়। তবে মনে রাখা দরকার, সম্পর্ক কিন্তু মোটেও শরীরসর্বস্ব নয়। শরীরে এক জনের হয়ে মনে মনে দু’জনের হয়ে থাকাও যা, মন ও শরীর উভয়েই দু’জনের হয়ে থাকায় কোনও ফারাক নেই।’’
তাঁর মতে, ‘‘কেউ দু’জনকেই ভালবাসি বললে, তাকে ‘মিথ্যে’ বলে ধরে নেওয়ার প্রবণতা আমাদের রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে সেখানে। কিন্তু অনেকেই দায়-দায়িত্ব দু’জনের ক্ষেত্রেই পালন করেন। এখানে অবশ্যই সঙ্গের মানুষদের অভিমান বা কষ্টের বিষয়টি আলাদা প্রসঙ্গ। কিন্তু কেউ দু’জনকে ভালবাসার দাবি করলে তা মিথ্যে নয়।’’
এই জটিলতার অন্যতম কারণ আমাদের সমাজ এখনও ভালবাসা ও যৌনতাকে পৃথক ভাবার মতো সাবলীল হতে পারেনি। তাই দু’জনকে ভালবাসার কথায় আঁতকে ওঠে। প্রতিটি ভালবাসাতেই যে যৌনতা থাকবে, তার কোনও মানে নেই। আবার ভালবাসাহীন যৌনতার সম্পর্কও হতে পারে। আবার স্রেফ যৌন ইচ্ছে পূরণের জন্য ভালবাসা তৈরি করতে গিয়েই সমস্যার সুত্রপাত করেন অনেকে।
কিছু ভালবাসা হয় ঘরের মতো, যেখানে নিজের মতো করে শ্বাস নেওয়া যায়, মুক্তির স্বাদ আসে। আবার কিছু ভালবাসা হয় সপ্তাহান্তে একবার দেখা পাওয়ার উল্লাসের মতো। আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে কোনটা এগিয়ে, এবার সেটা আপনাকেই বিচার করতে হবে। কারণ দিনের শেষে প্রয়োজন মেটানোর হাত এগিয়ে এলে সেটাকে আগলে নিলে জটিলতা এড়ানো যায় বলেই মনোবিদদের মত।
অতএব মনোবিদদের মতে, সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও অন্য একজনকে মনে ঠাঁই দিলে আত্মদংশনে ভোগার কারণ নেই। কোনও সম্পর্কে কোনও প্রতিযোগিতা থাকে না। দায়-দায়িত্বে অবহেলা না করে, নিজের অবস্থান ও সাহস বুঝে তবেই এগোন। অন্তত সমাজ ও নিজের অনুভব, এই অসম লড়াই লড়তে পারার মতো শক্তি আছে কি না ভেবেই এগোন, তবে মনে রাখবেন একসঙ্গে দু’জনকে ভালবাসায় কোনও অন্যায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy