হয়তো আপনার প্রিয় সব্জি নয়। হয়তো বাজার থেকে কিনেও আনেন না। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য যে বড়ই উপকারী, তা অধিকাংশই জানেন। সেদ্ধ হোক বা ভাজা, শুক্তো হোক বা আচার— রকমারি রেসিপিও আপনার মন কাড়তে পারে না। অপ্রিয় সেই সব্জিটি হল, করলা।
করলার চায়ের উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অভিনেত্রী রকুল প্রীত সিংহ বাড়ির বাগানে করলা চাষ করে খেতে পছন্দ করেন। করিনা কপূর খান অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন করলার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রও নাকি গুড় মাখানো করলা খেতে ভালবাসতেন। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরাও করলার উপকারিতার কথা বলেন তাঁদের রোগীদের। বিশেষ করে ডায়াবিটিস আক্রান্তদের জন্য করলা খুবই কার্যকরী। সম্প্রতি স্বাস্থ্যসচেতনরা অবশ্য করলার সঙ্গে অন্যান্য সব্জি ও ফল মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেয়ে নেন। আপনিও আপনার প্রিয় তারকাদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে করলা খেতে পারেন। খাওয়ার পাতে যদি করলা না রাখতে চান, তা হলে এমনই কোনও পানীয়ে করলা মিশিয়ে নিতে পারেন। স্মুদি বানানো যদি ঝক্কি বলে মনে হয়, তা হলে অতি সহজে করালর চা বানিয়ে পান করে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে বানাবেন করলার চা?
একটি করলা গোল গোল করে কেটে তার থেকে কয়েকটি টুকরো নিয়ে জলে ফুটিয়ে নিন। মিঠে স্বাদের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলে জলের মধ্যে মধু বা গুড় মিশিয়ে দিতে পারেন। সব্জি হিসেবে না খেয়ে করলার পাতাও ফুটিয়ে নেওয়া যায় জলে। মাঝারি আঁচে মিনিট দশেক ধরে জল ফুটে গেলে আগুন নিভিয়ে দিন। ৫ মিনিট মতো ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এ বার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন একটি কাপে। প্রয়োজন হলে আরও একটু মধু বা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। গরম চায়ের মতো চুমুক দিয়ে খেয়ে নিন। গরমের সময়ে গলায় আরাম দেবে এমন চা। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করবে। লিভারকে পরিষ্কার রাখবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করবে তেতো এই চা।