শ্যামাপোকা চোখে ঢুকলে ক্ষতি হতে পারে কর্নিয়ার।(গ্রাফিক: তিয়াসা দাস)
গরমে ও বর্ষায় সাধারণত পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি হলেও দীপাবলির সময় শ্যামাপোকার বাড়বাড়ন্ত নাজেহাল করে ছাড়ে গৃহস্থকে। আলোর কাছে ঘুরতে থাকা শ্যামাপোকা মূলত কালীপুজোর সময় থেকেই চোখে পড়ে। এমনিতে খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও এই পোকা ঝাঁকে ঝাঁকে আসে ও ঘরবাড়িতেও ঢুকে পড়ে। বিশেষত টিউব লাইট ও ছোট আলোর চারপাশেই এই ধরনের পোকাকে দেখতে পাওয়া যায়।
অনেকেই এই সময় শ্যামাপোকাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাজারচলতি রায়াসনিক সমৃদ্ধ ক্ষতিকারক বাগ রেপেলেন্ট ব্যবহার করেন। এর উপাদান ত্বকের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনই শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসের সঙ্গে তা ভিতরে প্রবেশ করলেও নানা ক্ষতি করতে পারে। তা ছাড়া পোকাদের মেরে ফেলার চেয়ে তাদের দূরে রাখাই কাম্য।
তাই রাসায়নিক সমৃদ্ধ পেস্ট রেপেলেন্ট ব্যবহারের পরিবর্তে বরং বাড়িতেই তৈরি করুন প্রাকৃতিক দ্রবণ, যার মাধ্যমে সহজেই দূরে রাখা সম্ভব শ্যামাপোকাদের। এসেনশিয়াল অয়েলের হাতযশই এখানে মূল। কিন্তু একটু জল মিশিয়ে তবেই ব্যবহার করুন এই এসেনশিয়াল অয়েল। কোন কোন তেলে আস্থা রাখলে ঘরে শ্যামাপোকাদের ভিড় বিব্রত করবে না আপনাকে, জানেন?
আরও পড়ুন: বাজির ধোঁয়ায় লুকিয়ে ফুসফুসের বিপদ, কী ভাবে বাঁচবেন
টি ট্রি তেল যেমন শ্যামাপোকা দূর করে, তেমনই ছারপোকা মারতেও ওস্তাদ
ইউক্যালিপটাস ও লেমন এসেনশিয়াল তেল: ইউক্যালিপটাস গাছের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধের কারণেই এর গায়ে পোকামাকড়েরা বসে না। এক কাপ ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ ইউক্যালিপটাস তেল ও আধ চামচ লেমন এসেনশিয়াল মিশিয়ে একটা স্প্রে তৈরি করে ঘরের প্রতি কোনায় ছড়িয়ে দিন। বিশেষ করে আলোর চারপাশে। উপদ্রব অনেক কমবে।
আরও পড়ুন: ত্বক সহজেই শুষ্ক হয়ে পড়ে? এ সব ঘরোয়া উপায়ে আর্দ্রতা থাকবে অটুট
টি ট্রি অয়েল: কোনও কীটপতঙ্গই টি ট্রি তেলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এক কাপ জলের সঙ্গে দু’ চামচ টি ট্রি তেল মিশিয়ে স্প্রে করে দিন আলোর চারপাশে ও ঘরের নানা কোণে। এই মিশ্রণ যেমন শ্যামাপোকা দূর করে, তেমনই ছারপোকা মারতেও ওস্তাদ।
ল্যাভেন্ডার তেল: পোকামাকড় তাড়াতে ল্যাভেন্ডার তেলও খুব কার্যকরী। এক কাপ জলে ২ চামচ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে নিন। আলোর চারপাশে স্প্রে করে রাখুন। শ্যামাপোকা সরবে সহজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy