জেলা হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসকের অপেক্ষায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিভাবকেরা। টানা সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনও চিকিৎসক আসেননি বলে অভিযোগ।
সেই সময় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসে অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উপসচিব জলি চৌধুরী। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সুপারের চেম্বারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন উপসচিব-সহ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। খবর পেয়ে অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকেরা সুপারের চেম্বারের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন উপসচিব জলিবাবু। অস্বস্তিতে পড়ে যান হাসপাতাল সুপার অনুপ হাজরা-সহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের একাংশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের সাধারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে শিশু চিকিৎসককে বহির্বিভাগে হাজির করানোর দাবি জানান। প্রায় এক ঘণ্টা পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত ও ভবিষ্যতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসকেরা থাকবেন বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উপসচিব জলিবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতাল সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ভবিষ্যতে যাতে সঠিক সময়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসকেরা থাকেন, তা দেখতে বলা হয়েছে।’’ উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জনকুমার মজুমদার বলেন, ‘‘সুপারের রিপোর্ট চেয়েছি। প্রয়োজনে এ দিন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বহির্বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’