শুরু হয়েছিল চার জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে। আজ সে সংখ্যা ১৫০ ছুঁয়েছে। কত্থকশিল্পী সায়নী চাওড়ার সংস্থা ‘নিমগ্ন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে। সেই পথ চলাকেই উদ্যাপন করা হল কলকাতার জ্ঞানমঞ্চে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ভারতীয় বিদ্যাভবন।
লখনউ ঘরানার জাতীয় স্কলারশিপ পাওয়া কত্থকশিল্পী সায়নী চাওড়ার নৃত্যশিক্ষার ২৫ বছর পূর্ণ হল। একই সঙ্গে, কত্থক শিক্ষাকেন্দ্র নিমগ্ন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনও পা দিয়েছে ২০ বছরে। দুই উপলক্ষকেই স্মরণীয় করে রাখতে ভারতীয় বিদ্যাভবন আয়োজন করে ‘উৎসাহ-চ্যাপ্টার ২’। এ দিন দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নৃত্য পরিবেশন করেন।
কত্থকশিল্পী সায়নী চাওড়ার শিক্ষাকেন্দ্র নিমগ্ন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের নৃত্যানুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কথক শিল্পী সায়নী চাওড়া পরিচিত নাম। পণ্ডিত বিজয়শঙ্করের কাছে লখনউ ঘরানায় নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পেয়েছেন ভারত সরকারের ন্যাশনাল স্কলারশিপ। একক নৃত্যশিল্পী হিসেবে এবং নৃত্যদল নিয়েও অংশ নিয়েছেন সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত একাধিক অনুষ্ঠানে। তাঁর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই আজ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শিল্পী তালিকায় রয়েছেন।
বাবা-মায়ের হাত ধরে মাত্র চার জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে সায়নী শুরু করেছিলেন নিমগ্ন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। ছাত্রছাত্রীদের ধ্রুপদী নৃত্যের তালিম দিয়ে যাচ্ছেন একাগ্র চিত্তেই। সেই পথ চলাই আজ সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে। তাঁর নৃত্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। শিল্পী হিসেবে শুধু প্রতিষ্ঠা পাওয়াই নয়, আগামী প্রজন্মকে ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করানোই তাঁর লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের সেই মর্মেই তালিম দিচ্ছেন তিনি। মঞ্চে তাঁর পদসঞ্চালন জানিয়ে দেয় তাঁর প্রতিভা, নিষ্ঠা ও সম্ভাবনার কথা। অপূর্ব অভিব্যক্তিতে অভিভূত ও মন্ত্রমুগ্ধ হন দর্শকেরা।