Advertisement
E-Paper

চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ঘাটালের একটি নার্সিংহোমে। শুক্রবার ওই ঘটনার পর নার্সিংহোমে ভাঙচুরও চালান মৃতের আত্মীয়রা। এরপর ওই মহিলার দেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধও করা হয়। ওই ঘটনায় নার্সিংহোম পক্ষের প্রভাত দণ্ডপাট এবং সুশান্ত জানা নামে দুই ব্যক্তি জখম অবস্থায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৫ ০৩:২২

চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ঘাটালের একটি নার্সিংহোমে। শুক্রবার ওই ঘটনার পর নার্সিংহোমে ভাঙচুরও চালান মৃতের আত্মীয়রা। এরপর ওই মহিলার দেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধও করা হয়। ওই ঘটনায় নার্সিংহোম পক্ষের প্রভাত দণ্ডপাট এবং সুশান্ত জানা নামে দুই ব্যক্তি জখম অবস্থায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় একটি মলা শুরু করা হয়েছে। নার্সিংহোমের তরফের অভিযোগও খতিয়ে

দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও মৃতের বাড়ি সূত্রের খবর, গত রবিবার দিন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ঘাটালে বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী (১৯) নামে ওই মহিলা শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ওই রাতেই একটি পুত্র সন্তানের জন্মও দেন তিনি। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, মা ও সদ্যোজাত দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রিয়াঙ্কাদেবীর শরীর খারাপ হতে থাকে। নার্সিংহোম পক্ষের প্রভাত দণ্ডপাট বলেন, “রোগীর ওই অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে জরুরি ভিত্তিক চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শরীরের উন্নতি না হওয়ায় রাতেও তাঁকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল দশটায় কলকাতার হাসপাতালে মারা যান ওই মহিলা।’’ তবে মৃতার স্বামী নিরূপ চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘ওই নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই আমার স্ত্রী মারা গেলেন। আমরা অভিযুক্তের শাস্তি চাই।’’

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় ওই মহিলার দেহ ময়না-তদন্ত না করেই চলে এসেছিলেন বাড়ির লোকজন। ফলে শনিবার ময়না-তদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঘাটাল হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক ময়না-তদন্তে রাজি না হওয়ায় পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।

হাতির হানায় মৃত্যু। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। শুক্রবার রাতে গোয়ালতোড় থানার নোহারি সংলগ্ন চাঁদাবিলা গ্রামের এই ঘটনায় মৃতের নাম ভৈরব নায়েক (৪০)। তিনি বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার টেঙ্গুরা গ্রামের বাসিন্দা। বন দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) অর্নব সেনগুপ্ত বলেন, “ওই এলাকায় একাধিক রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। তাদের মধ্যে নোহারি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি হাতি এই কাণ্ড করেছে। পায়ের ছাপ দেখে হাতিটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে মেয়ে-জামাইকে অষ্টমঙ্গলার জন্য নিয়ে যেতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন বাঁকুড়ার ওই ব্যক্তি। এ দিন রাতে ভাত খেয়ে শিলাবতী নদীর পাড়ের দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই একটি দাঁতাল ভৈরববাবুকে শুঁড়ে জড়িয়ে নদীর পাড়ে ছুঁড়ে ফেলে। এ দিকে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। সেই সময় জঙ্গলের ধারে রক্তাক্ত দেহ মেলে ভৈরববাবুর। তাঁকে গড়বেতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত
বলে জানান।

Pregnant woman wrong treatment ghatal road strike police hospital bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy