প্রতীকী ছবি।
নিয়মিত ধূমপানে ফুসফুসের সঙ্কট বাড়ে। তা অজানা নয়। তবু ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানের সুখটান ছাড়া যায় না। কিন্তু এই অভ্যাস শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। তার জেরে ক্ষতি হয় শরীরেও। এমনই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র গবেষণা।
সব মিলে ধূমপানের জেরে ৬.৪ গুণ বাড়ে অসময়ে মৃত্যুর আশঙ্কা। কারণ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে আয়ু কমে যায় ৫- ১০ বছর। ধূমপানের প্রভাবে মানসিক রোগ বাড়ায় তাই মৃত্যুও এগিয়ে আসে। এর সঙ্গে আছে ক্যানসার, ডায়াবিটিস এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এ সব রোগও আয়ু কমায় অনেক ক্ষেত্রেই।
কিন্তু ধূমপান কী ভাবে মনের উপর প্রভাব ফেলে?
অনেকেই ভাবছেন নিকোটিনে ভাল লাগা তৈরি হওয়ার কথা। তাতে শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়বে। কিন্তু যা অনেকেই জানেন না, ধূমপান অবসাদেরও কারণ। নিকোটিন সে ভাবেই প্রভাবিত করে মস্তিষ্ককে।
ধূমপানের কারণে ডায়াবিটিস, ক্যানসার, হৃদ্যন্ত্রের অসুখ নিয়ে অনেক চর্চা হয়ে থাকে। কিন্তু যে কথা হয় না, তা হল মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এই অভ্যাসের প্রভাব। শুধু মানসিক চাপই নয়, ধূমপানের কারণে বাড়তে পারে অবসাদ, উদ্বেগও। অতিরিক্ত ধূমপান ডেকে আনতে পারে স্কিৎজোফ্রেনিয়াও। কারণ সিগারেটের ধোঁয়ায় এমন একটি রাসায়নিক থাকে যার প্রভাবে মস্তিষ্কের গ্রে ও হোয়াট ম্যাটার শুকিয়ে যেতে থাকে। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, ধূমপান একেবারে বন্ধ করে দিলে এত দিনের প্রভাব খানিকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy