ছোট রঙিন মাছ যেমন অ্যাকোয়ারিয়ামের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই কখনও কখনও একটি বড় মাছই অ্যাকোয়ারিয়ামের ভোল পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তেমনই একটি মাছ হল আরওয়ানা। বিভিন্ন প্রজাতির আরওয়ানার মধ্যে এশিয়ান প্রজাতিটি এ দেশে দেখা যায়। রুপোলি, সোনালি আভা, লালচে এমন নানা রঙের মাছ রয়েছে। মাথাটি কিঞ্চিৎ সরু হলেও আকারে বৃহৎ মাছটি সদর্প উপস্থিতিতিতে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন:
অ্যাকোরিয়ামে এমন একটি মাছ আনতে চাইলে তার প্রস্তুতিও দরকার। জেনে নিন কোন পরিবেশে এই মাছ ভাল থাকে।
অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার: খুব দ্রুত বাড়ে এই মাছ। ২-৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে মাছটি। ফলে বড় ঘর এবং আকারে বৃহৎ অ্যাকোয়ারিয়ামের বন্দোবস্ত করা গেলে তবেই এই মাছ কেনার কথা ভাবা দরকার। মোটমুটি ১৫০ গ্যালন জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাকোয়ারিয়াম এই মাছের জন্য দরকার। তা ছাড়া সাঁতরাতে সাঁতরাতে জলের উপরিতলেও উঠে যায় মাছটি। সে কারণে অ্যাকোয়ারিয়াম ঢেকে রাখা জরুরি। তা ছাড়া মাছের চলাফেরার জন্য বেশ বড় জায়গার দরকার হয়।
ফিল্টার: মাছটির জন্য পরিচ্ছন্ন জলের প্রয়োজন। সে কারণেই ভাল মানের ফিল্টার থাকা জরুরি, যা বর্জ্য পদার্থ জল থেকে পরিষ্কার করে দেবে। প্রতি ঘণ্টায় ৬০০ গ্যালন গতিসম্পন্ন অ্যাকোয়ারিয়াম ফিল্টার এ জন্য জরুরি। আরওয়ানা মাছটিকে ভাল রাখতে হলে মাঝেমধ্যেই জল পাল্টে ফেলা দরকার।
পিএইচ মাত্রা: অ্যামোনিয়া, নাইট্রেটের মতো এই উপাদানগুলি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে মাছের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণে নিয়মিত জলের পিএইচ মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশের তাপমাত্রা এই মাছের জন্য আদর্শ।
ছোট মাছ খায়: আরওয়ানা ছোট ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। নিজের জায়গার মধ্যে তার আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা থাকে। তাই আর কোন মাছ তার সঙ্গে রাখা হচ্ছে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বড় ক্যাটফিশ, সিলভার ডলার ফিশ এই মাছের সঙ্গে রাখা যাতে পারে।
সাজসজ্জা: আরওয়ানা আকারে বৃহৎ, সাঁতরানোর জন্য জায়গাও বেশি লাগে। তাই খুব বড় আকারের জিনিস দিয়ে অ্যাকোয়ারিয়াম সাজালে মাছের চলেফেরায় অসুবিধা হতে পারে। সেই দিকটি মাথায় রাখা প্রয়োজন।
এশিয়ান আরওয়ানার সমস্ত প্রজাতিই কিন্তু অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা যায় না। কিছু প্রজাতির জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। তাই আরওয়ানা কেনার আগে এই বিষয়গুলি জেনে নেওয়া দরকার। মাছের দামও হয় চড়া।