বাড়িতে পোষ্য আনার আগে তার জন্য খরচ-খরচার বিষয়টিও আগাম ভেবে নিতে বলেন অনেকে। তার কারণও যথেষ্ট। পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, পোষ্যের উপযোগী খাবার, জিনিসপত্র কেনার খরচ তো রয়েছেই। আবার অসুখবিসুখ করলে সেই ধাক্কাও সামলাতে হবে।
কিন্তু সারমেয় বাড়িতে রাখলেই তার জন্য দেদার খরচ করতেই হবে, এমন নয়। কী ভাবে পোষ্যকে যত্নে রেখেও তার খরচ-খরচা কমাতে পারেন?
আরও পড়ুন:
১ . সারময়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিছানা পাওয়া যায়। সুবিধা যত বেশি, ততই দামও। কুকুরছানার যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, এমন গদিওয়ালা বিছানা কিন্তু ঘরোয়া জিনিস দিয়েও বানিয়ে দেওয়া যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, যে কাপড় ব্যবহার করছেন তা যেন সারমেয়র জন্য আরামদায়ক হয়। নিয়মিত তার বিছানা, চাদর পরিষ্কার করাটাও বাধ্যতামূলক।
২. বাজারচলতি কুকুরের খাবার না খাইয়ে ঘরোয়া খাবারেও তাকে সুস্থ রাখা যায়। এতে অনেকটাই খরচ বাঁচানো সম্ভব।সারমেয়কে নিয়মিত কেনা খাবার না দিয়ে মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে তাকে খাওয়ানো যায়। এ ছাড়া পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভাত, সব্জি, মাংস তেল, মশলা, নুন ছাড়া রেঁধেও তাকে খাওয়ানো যায়। এতে মোটেই পোষ্যের পুষ্টিতে ঘাটতি হবে না।
৩. পোষ্যের অসুখবিসুখ হলে খরচ হবেই। সেটা বাজেটের মধ্যেই ধরতে হবে। তবে কুকুরের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাকরণের জন্য সরকারি পশু হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে পারেন। অথবা বড় বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে, এমন জায়গারও সন্ধান করে দেখতে পারেন।
৪. কুকুর বাড়িতে রাখতে হলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার লোম ছাঁটা, নখ কাটা, শ্যাম্পু করা, দুর্গন্ধ দূর করতে পাউডার বা স্প্রের দরকার পড়ে। কুকুরকে সাজিয়ে তুলতে তাদেরও ‘বিউটি পার্লার’ রয়েছে, যেখানে পেশাদারেরা সারমেয়র নখ, লোমের পরিচর্যা করেন। তবে বাড়িতেও পোষ্যের যত্ন নেওয়া যায়। লোম পরিষ্কার, নখ কাটার যন্ত্র, শ্যাম্পু, পাউডার পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মতো বাড়িতেই কিনে সারমেয়কে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারেন।
৫. অনেকেই পোষ্যকে আচরণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পেশাদার প্রশিক্ষকের সাহায্য নেন। কুকুরকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো, ঘোরানোর জন্যও লোক মেলে। তবে নিজেই যদি সময় করে তাকে মাঠে ঘোরাতে নিয়ে যান, তার সঙ্গে ছোটাছুটি করেন, বল নিয়ে খেলেন— নিজে থেকেই শরীরচর্চা হয়ে যাবে। এতে শুধু পোষ্যের শরীর-মন ভাল থাকবে তা-ই নয়, যিনি যাচ্ছেন, তিনিও ভাল সময় কাটাতে পারবেন।