Advertisement
E-Paper

ব্যক্তিগত জীবনে অনুপ্রবেশ করছে পেশা? ৫ অভ্যাসে ভারসাম্য থাকবে

কাজ থেকে বাড়ি ফিরেও কাজ। আবার অফিসে গিয়েও বাড়ির চিন্তা। এই দুই ক্ষেত্রের মাঝে অদৃশ্য এক সূক্ষ্ম বিভাজন রয়েছে। সেই সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেন অনেকেই।

Image of working life

ছবি: প্রতীকী

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১২:১৯
Share
Save

১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করার পর বাড়ি ফিরে আবার ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয়। কথা বলা তো দুরস্ত। বাড়ি ফিরে মুখ তুলে থাকানোর সময়টুকু থাকে না। খেতে খেতেও প্রায় সময়েই চোখ আটকে থাকে সমাজমাধ্যমের পাতায়। এই ধরনের কর্মসংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। যার ফলে কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখা ক্ষমতা থাকছে না বেশির ভাগেরই। অল্পতে অধৈর্য হয়ে পড়া। পারিবারিক বিষয়ে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায় অনেকের মধ্যে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, জীবনে বৈচিত্র থাকবেই। কোনও একটা কাজে মনোনিবেশ করার মানে অন্য সব দিকে ইতি টেনে দেওয়া নয়। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে পারাই দক্ষ পরিচালকের গুণ। নিজের শখ-শৌখিনতা বজায় রেখে, পরিবারকে সময় দিয়েও কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব দেখানো যায়। তবে তার জন্য সাতটি অভ্যাস মেনে চলা জরুরি।

১) কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে

কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে গেলে আগে যে কোনও কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে। অফিস হোক বা বাড়ি, কোন কাজটি আগে করা প্রয়োজন, তা বুঝতে পারলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

২) যোগাযোগ ছিন্ন করতে হবে

গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নানা ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোনও বিষয়ে ‘আপ-টু-ডেট’ থাকা ভাল। কিন্তু এই অভ্যাস ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করাই নয়, কাজের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়ে নিজেকে বেঁধে ফেলতে চেষ্টা করুন।

৩) কোন সময়ে কী করবেন

২৪ ঘণ্টা বা গোটা একটা দিন, কে কী ভাবে কাজে লাগাবেন তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। কেউ সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। আবার, কেউ সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে ভাগ করে নানা ধরনের কাজ করেন। পরিবার, বন্ধুবান্ধবকে সময় দেওয়ার পরেও কেউ নিজের শখ পূরণ করার সময় রাখেন।

৪) কাজের আগে শরীর

স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম— কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার মূলমন্ত্র। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, শরীরকে অবহেলা করা চলবে না।

৫) সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে হবে

দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করতে করতেও বন্ধুবান্ধবের জগৎ তৈরি হয়ে যায়। তবে পরিবার কিন্তু সব কিছুর আগে। সে কথা ভুললে চলবে না। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও কাছের সম্পর্কগুলির যত্ন নিতে হবে।

Work Life Work Culture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy