শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে তাকে সুন্দর আকার দেয় মেথি। ছবি: শাটাকস্টক।
শরীরে অতিরিক্ত মেদ! এই ক’টা শব্দই পুজোর আগে রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মেদ কমাতে কতরকমই না চেষ্টা করি আমরা। জিম, যোগব্যায়াম, ডায়েটিং, ক্ষতিকারক পানীয় বাদ দেওয়া— চেষ্টার কসুর নেই।
নতুন জামা-জুতোর সঙ্গে চেহারাকেও ঝাঁ চকচকে করে নেওয়ার এই তো সময়! তা সবকিছুই যখন করছেন, তা হলে ঘরোয়া উপায়কেই বা বাদ রাখেন কেন? আমাদের রান্নায় ব্যবহৃত এমন অনেক মশলা আছে, যা কিন্তু সহজেই শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে তাকে সুন্দর একটা আকার দেয়। যেমন: মেথি।
কিন্তু মেথিকে ঠিক কী উপায়ে ব্যবহার করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে আপনাকে সুন্দর দেখাবে, জানেন?
আরও পড়ুন
সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়ার লাভ জানেন?
মেথির মতেই উপকারী মেথিশাক। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
মেথি চা: চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে।
আচ্ছা বেশ, স্বাদ নিয়ে ভাবনা এলে, এমন চায়ে যোগ করে দিন এলাচ বা আদা। তা কী করে বানাবেন? মেথিবীজ বেঁটে নিন বাড়িতেই। এ বার জল ফুটিয়ে তাতে সেই পেস্ট মেশান। এ বার এতে চা যোগ করে ফুটিয়ে নিন কিছু ক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।
মেথি-জল: পুরনো আমলের মানুষরা পেট গরম হলেই মেথির জল খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।
কী ভাবে খাবেন? খুব সহজ পদ্ধতি। এক কাপ মেথি সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর সকালে জল ছেঁকে নিয়ে খান।
আরও পড়ুন
সাদা ডিম না কি লালচে ডিম, কোনটা খাওয়া উপকারী, জানেন?
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অঙ্কুরিত মেথি: ভিটামিন ও নানা খনিজে পূর্ণ মেথিবীজ হজমে সহায়ক সে কথা তো আগেই বলেছি। আর এক উপায়েও খেতে পারেন মেথি। যদিও তা একটু সময়সাপেক্ষ। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝেই কাপড়টিতে জল দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।
মেথি গুঁড়ো: মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম জলে মিশিয়ে খান। এই জলে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy