সম্প্রতি ট্যাম্পন ব্যবহারকারী এক মহিলার স্বীকারোক্তি হইচই ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। ছবি: শাটারস্টক।
ঋতুস্রাবের সময় র্যাশ, চুলকানি থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ইদানীং স্যানিটারি ন্যাপকিনের পরিবর্তে ট্যাম্পন ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। তবে সম্প্রতি ট্যাম্পন ব্যবহারকারী এক মহিলার স্বীকারোক্তি হইচই ফেলেছে নেটদুনিয়ায়।
সমাজমাধ্যমে মেইলেন গ্যানেজ় তাঁর ট্যাম্পন ব্যবহারের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে। দু’বছর ট্যাম্পন তাঁর ডিম্বনালিতেই আটকে ছিল সে কথা মোটেই টের পাননি তিনি।
পেশায় লেখক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মেইলেন এক ভিডিয়ো শেয়ার করে বললেন, ‘‘আমি যখন নাবালিকা ছিলাম, তখন এক দিন হঠাৎ আমার যোনিপথে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসকরা ভাবেন, আমায় বুঝি পোকা কামড়েছে। তবে দু’বছর পর আমি জানতে পারি আসল সত্য। আমার শরীরে সব উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা মনে করেন, আমার যোনিতে কোনও পোকা কামড়েছে। সেই মতো তাঁরা আমায় ওষুধও দেন। ওষুধ খেয়ে আমার যন্ত্রণা খানিকটা কমে। তবে ফের কিছু দিন পর আবার একই সমস্যা শুরু হয়। যোনিপথে ব্যথা বাড়ে। সেই সময় অস্বস্তির কারণটা খানিকটা আন্দাজ করতে পারলেও লজ্জায় চিকিৎসকদের কিছুই জানাতে পারিনি।’’
ট্যাম্পন ঘিরে বিতর্ক। ছবি: শাটারস্টক।
বছর দুয়েক পরে সমস্যা আরও বাড়ে। এ বার মেইলেনের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। নানা পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান তাঁর যোনিতে আড়াআড়ি ভাবে ট্যাম্পন আটকে আছে। যা এতটাই ভিতরে ছিল যে অস্ত্রোপচার ছাড়া বার করা সম্ভব ছিল না। ট্যাম্পনের কারণে তাঁর যোনিতে সংক্রমণ হয় এবং সেই থেকেই তীব্র দুর্গন্ধ তৈরি হয়। বিকট দুর্গন্ধের কারণে লোকসমাজে যেতেও মেইলেনের অস্বস্তি হত। চিকিৎসকরা ওষুধের মাধ্যমে ট্যাম্পনটি গলানোর চেষ্টা করেন। তবে দীর্ঘ দিন সেই যন্ত্রণার মধ্যে থাকতে হয় মেইলেনকে। আরও বেশ কিছু পরীক্ষার পর জানা যায়, একটা নয়, তিন তিনটে ট্যাম্পন আটকে তাঁর যোনিতে। যদিও সেগুলি অস্ত্রোপচার ছাড়াই বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকরা জানান, ট্যাম্পন পরে তার পর খুলতে ভুলে যাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy