রান্না করা, খাবার গরম করা— মাইক্রোঅয়েভ অভেন থাকলে হাজারো কাজ হয়ে যায়। সময় বাঁচাতে এবং হেঁশেলের কাজ সহজ করতে মাইক্রোঅয়েভই বড় ভরসা এখন। তবে মাইক্রোঅয়েভ ব্যবহারের নিয়ম আছে। কী ধরনের পাত্রে মাইক্রোঅয়েভে খাবার গরম করছেন, তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই এটি ব্যবহারের সময়ে আরও কিছু ছোট ছোট ভুল হয়, যা এড়িয়ে চলেন অনেকেই। সেই ভুলগুলি শুধরে না নিলে এর থেকে বড় বিপদের ঝুঁকি থেকেই যায়। এমনকি তা থেকে বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থাকে।
মাইক্রোঅয়েভ ব্যবহারের সময়ে কী কী ভুল করবেন না?
জমে থাকা খাবারের দাগ
খাবার গরম করার সময়ে বা মাইক্রোঅয়েভে রান্নার সময়ে খাবারের টুকরো বা খাবারের দাগ লেগে যায়। সেই দাগ দিনের পর দিন জমে থাকলে তা মাইক্রোঅয়েভের স্থায়িত্ব কমিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া জমা খাবার পরিষ্কার না করলে তা থেকে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। জমে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ বা খাবারের দাগ মাইক্রোঅয়েভের দেওয়াল পুড়িয়ে দিতে পারে, এর থেকে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। রোজ উষ্ণ জলে কাপড় ভিজিয়ে ভাল করে মাইক্রোঅয়েভের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে।
পোড়া গন্ধ বেরোয় কি?
মাইক্রোঅয়েভ অভেন থেকে পোড়া গন্ধ বা ধোঁয়া বার হলে, আগে সুইচ বন্ধ করে প্লাগ খুলে দিন। খাবার পুড়ে গেলে গন্ধ ছড়াতে পারে, তবে এটি ছোট সমস্যা। কিন্তু যদি দেখেন, প্রায়ই খাবার গরম করার সময়ে পোড়া গন্ধ বার হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে গন্ধ বার হলে তা ফেলে রাখা ঠিক হবে না।
আরও পড়ুন:
অস্বাভাবিক শব্দ
খাবার রান্না বা গরম করার সময়ে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা গেলে সাবধান হতে হবে। কী ধরনের পাত্রে খাবার গরম করছেন তা খেয়াল রাখুন। ধাতব পাত্র, শোলা বা কাগজের কোনও কিছুতে খাবার গরম করবেন না। পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়েও খাবার গরম করবেন না। যদি দেখেন খাবার গরম করার সময়ে জোরালো শব্দ হচ্ছে, তা হলে সুইচ বন্ধ করে দিন। না হলে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
খাবার ঠিকমতো গরম হচ্ছে তো?
মাইক্রোঅয়েভে খাবারের পাত্র ঢুকিয়ে দেখুন তা ঠিকমতো ঘুরছে কি না। যদি দেখেন পাত্রটি থেমে যাচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে সার্কিট বোর্ডের সমস্যা রয়েছে। ভাল করে যাচাই করতে, মিনিট দুয়েকের সময় সেট করে দেখুন। যদি দেখেন খাবার ঠিকমতো গরম হয়নি,তা হলে বুঝতে হবে কিছু বৈদ্যুতিক ত্রুটি হচ্ছে।