ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তা-ই নয়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবেও এর কদর রয়েছে। ফ্রি র্যাডিকালস ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায় ভিটামিন সি। চুল ও ত্বকের যত্নেও এটি অপরিহার্য। লিম্ফোসাইট বা শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। শরীরে লৌহ কণিকা শোষণ করতেও এই ভিটামিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোলাজেন সিন্থেসিসের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় এই উপাদান।
এমনিতেই শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারে না। নিত্য খাবারের মাধ্যমেই তাকে পৌঁছে দিতে হয় কোষে কোষে। যে কোনও ধরনের লেবু, আমলকী, পেঁপে, টোম্যাটো, ক্যাপসিকাম, পেয়ারা, ব্রকোলি ইত্যাদি উপাদান খাবার পাতে যোগ করে ভিটামিন সি-এর জোগান বাড়াতে পারেন সহজে।
এত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভিটামিন সি-র অনুপস্থিতি কিন্তু মোটেই প্রাথমিক ভাবে টের পাওয়া যায় না। ফলে উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এই অভাবকে উপেক্ষা করতে করতে এমন একটা পর্যায় আসে যখন ক্রনিক অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। দেখা দেয় অন্য অনেক ক্রনিক উপসর্গ। কী দেখে বুঝবেন শরীরে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ভিটামিন সি-র?