নতুন মোবাইল ফোন কেনার পর থেকেই ধীরে ধীরে ব্যাটারির শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করে। এখনকার বেশির ভাগ ফোনেই ‘ব্যাটারি হেল্থ’ থেকে চার্জিং সাইক্ল জানা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
ফোন যত পুরনো হয়, ততই দ্রুত ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়। তার জন্য ফোনে একাধিক ফিচার রয়েছে। পাশাপাশি, ব্যবহারকারী নিজেও একাধিক পদক্ষেপ করতে পারেন। তবে একটি বিশেষ ফিচার চালু থাকলে ফোনের চার্জের মেয়াদ আরও বাড়বে। আইওএস অপারেটিং সিস্টেমেই এই বিশেষ ফিচারটি রয়েছে। এখন অ্যান্ডরয়েডের দামি ফোনের ক্ষেত্রেও একাধিক কোম্পানি এই ফিচারটির সুবিধা দিয়ে থাকে। তাকে বলা হয়— ফেসডাউন বা ফ্লিপ ডিটেকশন।
ফেসডাউন ডিটেকশন কী
এখন অনেকের ফোনেই ‘অলওয়েজ় অন ডিসপ্লে’ ফিচার অন করা থাকে। তার ফলে ফোনের পর্দা অন্ধকার থাকলেও তারিখ সময় এবং নোটিফিকেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি দেখাতে থাকে। তার ফলে সামান্য পরিমাণে হলেও ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। ফেসডাউন-এর মাধ্যমে ফোনটি টেবিলে উপুড় করে রাখলে তখন নোটিফিকেশন, সময় বা ফোনকল মিউট করা সম্ভব। কোনও কোনও ফোনে ফেসডাউন পর্যায়ে ফোনের পর্দা সম্পূর্ণ রূপে কালো থাকে। ফলে ব্যাটারি বাঁচে। ফোনের সামনে উপরের দিকে থাকে প্রক্সিমিটি সেন্সর। মূলত তা ব্যবহার করেই ফোনের ফেসডাউন পজিশন শনাক্ত করা হয়।
কী কী করা সম্ভব
১) ফিচারটি অন করা থাকলে ফোন এলে মোবাইল উল্টে রাখলে কল মিউট করা সম্ভব।
২) কোনও কোনও ফোনের ক্ষেত্রে ফেসডাউন অন থাকলে পর্দার ‘অলওয়েজ় অন’ ফিচারটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাটারি বাঁচে।
৩) কোনও কোনও ফোনের ক্ষেত্রে এই ফিচারটির মাধ্যমে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ফিচার অন করা যায়।
কখন ব্যবহার করলে সুবিধা
নতুন ফোনের ক্ষেত্রে এই ফিচারটির বিশেষ প্রয়োজন হয় না। কারণ, তখন ফোনের ব্যাটারি ভাল থাকে। পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে ফেসডাউন ডিটেকশন কাজে আসতে পারে। কারণ, তখন ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়। তাই এই ফিচারটি অন করা থাকলে সারা দিনে অনেকটা চার্জ বাঁচবে।