বাড়িতে তৈরি চিনা খাবারেও আসবে রেস্তরাঁর ছোঁয়া। ছবি: শাটারস্টক।
চিনা খাবার ভালবাসেন না, এমন বাঙালি হাতে গোনা। বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন হোক কিংবা প্রেম দিবস, বাঙালির ভোজনবিলাসের জন্য পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে কোনও না কোনও চিনা রেস্তরাঁ। তবে রেস্তরাঁর খাবার রোজ রোজ খাওয়া মোটেও ভাল নয়। অনেকেই তাই বাড়িতেই চিনা পদ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তবে রেস্তরাঁর সেই স্বাদ আর আসে কই? অনেকের মতে, চিনা পদ তৈরির সময়ে আজিনামোটো ব্যবহার করলেই রেস্তরাঁর মতো স্বাদ আসবে। কথাটা খুব একটা ভুলও নয়। কিন্তু এই উপাদানটি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে কয়েকটি বিশেষ টোটকা জানলে বাড়ির তৈরি চিনা খাবারেও আসবে রেস্তরাঁর মতো স্বাদ।
১) বেশির ভাগ লোকেই বাড়িতে সাদা তেলে চিনা খাবার বানান। এতেই কিন্তু স্বাদ বিগড়ে যায়। রেস্তরাঁয় চিলি চিকেন, ফিশ মাঞ্চুরিয়ানের গ্রেভি বানানোর সময়ে তিলের তেল ব্যবহার করা হয়, এতেই স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আপনিও তেলে বদল এনেই চিনা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
২) বেশির ভাগ চিনা রান্নাতেই সয়া সস্ ব্যবহার করা হয়। এই সস্ প্রচণ্ড অ্যাসিডিক প্রকৃতির হয়। এতে নুনের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই চিনা খাবার তৈরিতে সয়া সস্ ব্যবহার করার সময়ে দু’–চার দানা চিনি দিয়ে দিলে রান্নার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
৩) ধীমে আঁচে চাইনিজ় খাবার করলে তার স্বাদ ভাল হবে না। এই সব পদ রান্না করার সময়ে কড়াই ভাল করে তাঁতিয়ে নিতে হবে।
৪) চিনা খাবারে রঙিন সব্জি বেশি ব্যবহার করা হয়। চাইনিজ় ক্যাবেজ, পকচয়, রঙিন বেলপেপার, এই সব সব্জি খুব বেশি ভেজে নিলে স্বাদ খারাপ হয়ে যায়। চাইনিজ খাবারে সব্জিগুলি একটু আধসেদ্ধ থাকলেই ভাল লাগে। চিনা খাবার বানানোর সময় সব্জিগুলি খুব বেশি ক্ষণ ভাজবেন না।
৫) নুডলস সেদ্ধ করার সময়ে বিশেষত রাইস নুডলস তৈরি করার সময়ে বেশ সমস্যা হয় অনেকের। গলে গেলে তা খেতে মোটেও ভাল লাগে না। এ ক্ষেত্রে ফুটন্ত জলে নুন আর সামন্য তেল দিয়ে নুডলস সেদ্ধ করে নিয়ে ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তবেই খেতে ভাল লাগবে আর একে অপরের গায়ে নুডলসগুলি লেগেও থাকে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy