'একে রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর', একেই তো করোনার ভয়ে সবাই তটস্থ তার সঙ্গে বৃষ্টির জমা জলে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিতে শুরু হয়েছে ডেঙ্গি জ্বর। আবার এদের সঙ্গী ইনফ্লুয়েঞ্জা তো আছেই। যে কোনও কারণেই জ্বর হোক না কেন সেরে যাওয়ার পরেও কদিন খুব দুর্বল লাগে। জ্বরের পর কয়েকদিন বিশ্রাম আর পুষ্টিকর খাবার খেলে তাড়াতাড়ি ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসা যায়। যে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণের পর শরীরের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই জ্বরের পর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে তবেই শরীর সারে, বললেন ডায়েটিশিয়ান ইন্দ্রাণী ঘোষ। সকালের জলখাবার থেকে রাতের খাবার প্রতি বারই খাওয়া দরকার প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
রান্নায় থাকুক হলুদ, জিরে, গোলমরিচ
কম তেল মশলা যুক্ত সহজপাচ্য খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায়। জ্বর হলে হালকা রান্না খাবার খেলে ভাল হয়। তবে বেশ কিছু মশলা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। হলুদ, জিরে, গোলমরিচ, আদা দিয়ে রান্না হালকা খাবার খেতে হবে। এই সব মশলা একদিকে খাবারকে মুখরোচক করে, অন্যদিকে পুষ্টিও বাড়ায় বললেন ইন্দ্রাণী ঘোষ। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেয়ে দিন শুরু করতে পারলে ভাল হয়। এছাড়া সব রকমের ডাল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া যায়। আবার মিশ্র ডাল খেলেও সব কটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকায় পুষ্টি বাড়ে। যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের প্রতিদিনের খাবারে ডাল থাকতেই হবে। এছাড়া ছোলা, সয়াবিনের বড়ি, ছানা ও দই খেতে হবে। কুমড়ো, পটল, ঝিঙ্গে, ঢ্যাঁড়শ সব রকমের সবজি খেতে হবে। বেশি তেলে রান্না বাদ দিতে হবে। অল্প তেলে রান্না করা খাবার বেশি পুষ্টিকর বলে জানালেন ইন্দ্রাণী।