শীত আসছে। চা হোক বা কফি কিংবা জল— থার্মোস ফ্লাস্কে গরমাগরম রেখে দিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা। নতুন কেনার আগে জেনে নিন এর খুঁটিনাটি। লিখছেন শমিকা মাইতি।
শুধু গরম নয়, ঠান্ডাও রাখে। থার্মোস ফ্লাস্কের কেরামতি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ধরে রাখায়—তাপের পরিবহণ, পরিচলন আর বিকিরণ বন্ধ করে। ফ্লাস্কের ভিতরে একটা চেম্বার আর বাইরে একটা, মাঝখানে শূন্যস্থান— যা তাপের পরিবহণ আটকায়। চেম্বারের মধ্যে কাঁচের পাতলা আস্তরণ আর উপরের মজবুত ঢাকনা আটকায় তাপের পরিচলন। ভিতরের রিফ্লেক্টিভ কোটিং তাপ বিকিরণকে ধরে রাখে ভিতরেই। থার্মোস ফ্লাস্ক কেনার সময় এই বিজ্ঞানটা যেমন মাথায় রাখতে হবে, তেমনই কী কাজে দরকার, সেটাও।
•বাইরেটা প্লাস্টিকের চেয়ে স্টেইনলেস স্টিলের হলে বেশিক্ষণ গরম থাকে, পড়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ডাবল ওয়াল স্টেইনলেস স্টিলের ফ্লাস্ক যেমন শক্তপোক্ত হয়, তেমন তাপনিরোধক হওয়ায় হাতে ধরতে সুবিধা।
•যদি আপনি একা হন, ৫০০ মিলির ফ্লাস্ক যথেষ্ট। এক বা একাধিক শিশুসন্তান থাকলে এক বা দু’লিটারের কিনতে হবে। পরিবারকে নিয়ে পিকনিক বা বেড়াতে গেলে বড় ফ্লাস্ক কাজে লাগে।
•ফ্লাস্কে হাতল থাকলে গাড়ির ‘কাপ হোল্ডারে’ বসাতে অসুবিধা হতে পারে। আবার ফ্লাস্কে ঝোলানোর ফিতে না থাকলে বেড়াতে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। ফিতে থাকলে সহজেই কাঁধে বা হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে বাইরে যাওয়া যায়।
• অনেক ফ্লাস্কের উপরের ঢাকনা কাপ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। বাইরে বেরোলে এই ধরনের ফ্লাস্ক খুবই কাজে আসে।
•ফ্লাস্কের মুখ সরু হলে ভিতর পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়। তাই মুখটা একটু চওড়া দেখে কেনা ভাল। ভিতরে নন-স্টিক কোটিং হলে সাফসুতরোয় সুবিধা বেশি। বেকিং সোডা আর ভিনিগার দিয়ে বোতল ব্রাশের সাহায্যে ঘষে নিন ভিতরটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy