পাশের বাড়ির ছেলে বা মেয়েটা লিভ ইন করে! ব্যস, আর পায় কে? তাঁকে নিয়ে হাজারও সমালোচনা শুরু। সমাজ এখনও ততটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি এই সম্পর্ককে। তবে হুট করে বিয়ে করার আগে না কি লিভ ইন করা ভাল। এতে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমও বাড়ে। তাই লিভ ইনকে খারাপ চোখে দেখবেন না, এরও অনেক সুফল আছে। কী সেই সুফল?
১) ভালবাসা আর সারা জীবন একটা মানুষের সঙ্গে কাটানো দু’টো আলাদা বিষয়। এই দু’টো গুলিয়ে ফেলবেন না। শুধু ভালবাসা থাকলেই হয় না। দু’জনে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করলে তবেই বোঝা যায় মানুষটির সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে পারবেন কি না।
২) বিয়ে মানেই প্রচুর ত্যাগ। বিশেষ করে মেয়েদের উপরেই এর প্রভাব বেশি। একটা সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটাও যেমন কঠিন হয়ে পড়ে তাঁর জন্য, তেমনই এক রাতের মধ্যেই নিজের পুরনো অভ্যাসগুলো ঝেড়েও ফেলতে হয়। বিয়ের আগে লিভ ইন করলে একে অপরকে বোঝাও অনেক সহজ হয়ে যায়। এতে আপনার অভ্যাসগুলোও পার্টনার আগে থেকে জেনে যাবেন। ফলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আপনাকে কোনও কারণে ভুল বুঝলে পার্টনার আপনাকে সাপোর্ট করবেন।
৩) এর পর আসা যাক খরচের প্রসঙ্গে। আপনারা দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত। আপনাদের মাস গেলে রোজগারও হয়ত যথেষ্ট। কিন্তু তাতেই ভাববেন না যে বিয়ের পরেও আপনাদের জীবন ভাল ভাবেই কেটে যাবে। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিয়ের পরে খরচ অনেক বেড়ে যায়। তা ছাড়া যে টাকায় আপনারা আলাদা থেকে স্বাচ্ছন্দে কাটিয়েছেন, দু’জনের মিলিত রোজগারও কম পড়ে যাবে বিয়ের পড়ে। এক সঙ্গে থাকার খরচ এবং কতটাই বা সাশ্রয় করতে পারবেন, লিভ ইনে সেই ধারণা অনেকটাই স্পষ্ট হয়।
৪) প্রত্যেকেরই একে অন্যের থেকে কিছু চাহিদা থেকেই থাকে। একে অন্যকে বুঝে পার্টনারের চাহিদা পূরণ করাটাও অনেক সহজ হয়ে থাকে।
৫) এবং অবশ্যই যা আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া যায় না তা হল —সেক্স লাইফ। যে কারণে অনেক সময়ই দীর্ঘ দিনের প্রেমের পরে বিয়ে এবং তার পরই বিচ্ছেদ। সুস্থ দাম্পত্য জীবনের জন্য আপনার যৌন জীবন কতটা সুখের হবে তা জানাটাও খুব জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy