শৌচালয়ের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে চকোলেট। ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো বাড়ি খুঁড়ে মাটির নীচ থেকে গুপ্তধনের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। রূপকথার গল্পে এমন কাহিনি আকছার দেখা যায়। বাস্তবেও এমন ঘটনা যে একেবারে ঘটেনি, তা নয়। তবে এ বার স্নানঘরের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ক্যাডবেরি চকোলেটের বাক্স। যা দেখে হতবাক হয়েছেন স্বয়ং বাড়ির মালিক।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা এমা ইয়ং তাঁর বাড়ির সংস্করণ করাচ্ছিলেন। বাড়িটি তৈরি হয়েছে ১৯৩০ সালে। বাড়িটির বয়স প্রায় ৯০ বছর। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছিলেন। বাড়ির বাকি অংশের মেরামতির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। পুরনো শৌচালয় ভেঙে নতুন করে স্নানঘর তৈরির কাজ হচ্ছিল। শৌচালয়ের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে চকোলেট। এত দিনের পুরনো বাড়ির নীচে চকোলেট কী ভাবে এল, তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়।
এমা চকোলেটের বাক্সটি পেয়ে ধুলোমাটি ঝেড়ে পরিষ্কার করে রাখেন। বাক্সটি দেখে ঠিক কত দিনের পুরনো বোঝার চেষ্টা করছিলেন। বুঝতে না পারায় তিনি চকোলেট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চকোলেটের মোড়কে লেখা বাকি তথ্য দিলে সংস্থার তরফে তাঁকে জানানো হয়, চকোলেটটি ১৯৩০-১৯৩৪ সালের।
এমার মা চকোলেট খেতে অত্যন্ত ভালবাসতেন। বিয়ের পর তাঁর মা নাকি রোজ একটি করে চকোলেট খেতেন। এ সব অবশ্য পরে বাড়ির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছিলেন এমা। তবে এমার মা কোথায় চকোলেট লুকিয়ে রাখতেন, তার খোঁজ কেউ জানতেন না। এত বছর পেরিয়ে এসে অবশেষে মায়ের সেই চকোলেট লুকিয়ে রাখার রহস্যের উন্মোচন হল বলে মনে করছনে এমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy