বায়ু দূষণের কারণে এ দেশে অ্যাস্থমার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। গত ৪ বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে অ্যাস্থমার ওষুধের চাহিদা। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে নাম উঠে এসেছে দিল্লির। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র ও ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর শহর নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে অ্যাস্থমা। প্রতি বছর ২ মে পালিত হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস বা ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে। জেনে নিন এই অ্যাস্থমা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সচেতনতা।
অতিরিক্ত দূষণ, ধুলো, ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জি ডেকে আনতে পারে অ্যাস্থমা অ্যাটাক। এ ছাড়াও যারা কল-কারখানায় কাজ করেন বা পেশার কারণে ধোঁয়া, রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন তাঁরাও অ্যাস্থমা অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। কিছু কিছু খাবার থেকে অ্যালার্জিও ডেকে আনতে পারে অ্যাস্থমার মতো ভয়াবহ সমস্যা।
ডিম, গরুর দুধ, চিনা বাদাম, সয়, গম, মাছ, চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ, আখরোটে অ্যালার্জি থাকলে অ্যাস্থমা অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে।
বেশ কিছু ফুড প্রিজারভেটিভ থেকেও অ্যাস্থমা অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। সোডিয়াম বাইসালফাইট, পটাশিয়াম বাইসালফাইট, সোডিয়াম মেটা বাইসালফাইট, পটাশিয়াম মেটা বাইসালফাইট ও সোডিয়াম সালফাইটের মতো অ্যাডিটিভ খাবারে ব্যবহার করা হলে তা থেকেও অ্যাস্থমা অ্যাটাক হতে পারে।
ড্রাই ফ্রুট, সব্জি, আলু (প্যাকেজড), ওয়াইন, বিয়ার, বটল়ড লাইম জুস ও লেমন জুস, প্যাকেজড চিংড়ি ও আচার জাতীয় খাবারে এই ধরনের অ্যাডিটিভ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফুড অ্যালার্জির লক্ষণ
গায়ে লাল র্যাশ, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া। ফুড অ্যালার্জি থেকে যদি গলা ফুলে যাওয়া, কাশির সমস্যা হয় তা হলে অ্যাস্থমা অ্যাটাক হতে পারে। এই লক্ষণকে অ্যানাফিলেক্সিস বলা হয়ে থাকে।
সাবধানতা
যদি কোনও খাবার খেয়ে অ্যালার্জি হয় তা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন ও সাবধান থাকুন। খাবার কেনার সময় ফুড লেবেল ভাল করে পড়ে নিন। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে কী ভাবে খাবার বানানো হচ্ছে বা কী কী উপকরণ থাকে জিজ্ঞেস করুন। যদি সমস্যা খুব বেশি হয় সব সময় সঙ্গে অ্যালার্জির ওষুধ বা ইঞ্জেকশন রাখুন। কোনও রকম অস্বস্তি হলে ওষুধ বা ইঞ্জেকশন নিতে দ্বিধা করবেন না।
অ্যাস্থমা অ্যাটাকের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ
কাশি
শ্বাসপ্রশ্বাস ছোট হয়ে আসা
এক্সারসাইজ করার সময় হাঁপিয়ে ওঠা
নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, মাথা ধরা
আরও পড়ুন: চিন্তার কি কোনও ভাল গুণ আছে? গবেষকরা বলছেন আছে
ঘুমে অস্বস্তি
প্রকোপ বাড়লে কাশি বন্ধ না হওয়া, ঘন ঘন শ্বাস, বুকে চাপ, মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, নখের মাথা নীল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy