Advertisement
E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্স চেয়ে তাণ্ডব হাসপাতালে

রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স দাবি করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর এবং ভাঙচুর চালানো হল। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের হটুগঞ্জ-উস্তি রোডে কুলেশ্বর মোড়ের কাছে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে উল্টো দিক দিয়ে আসা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় কুলেশ্বর গ্রামের আনোয়ার মোল্লা (২৫) মোটরবাইকটি চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন ইব্রাহিম লস্কর (২০)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১০

রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স দাবি করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর এবং ভাঙচুর চালানো হল। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের হটুগঞ্জ-উস্তি রোডে কুলেশ্বর মোড়ের কাছে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে উল্টো দিক দিয়ে আসা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় কুলেশ্বর গ্রামের আনোয়ার মোল্লা (২৫) মোটরবাইকটি চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন ইব্রাহিম লস্কর (২০)। দু’জনেই মারাত্মক জখম হন। জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আনোয়ারকে চিকিৎসক ‘মৃত ঘোষণা করে। ইব্রাহিমকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে বলা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইব্রাহিমের আত্মীয়বন্ধুরা তাঁর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স দাবি করেন। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতালে মাতৃযান ছাড়া কোনও চালু অ্যাম্বুল্যান্স নেই। মাতৃযান কেবল প্রসূতি বা সদ্যোজাত সন্তানের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। এর পরেই জনা চারেক যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে মারধর করে। দোতলায় অফিসে ঢুকে কাগজপত্র ছড়িয়ে দেয়। এই সব গোলমাল চলাকালীনই ইব্রাহিম মারা যায়। খবর পেয়ে ডায়মন্ড ারবার থানা থেকে বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থল থেকেই নুরুদ্দিন লস্কর, রাজু মোল্লা, বুদ্ধদেব মণ্ডল ও শরিফ লস্কর নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা নেই। তা জানানো সত্ত্বেও কয়েক জন অন্যায় ভাবে আমাদের কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। বেশ কিছু দরকারি কাগজপত্র তছনছ করেছে। পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে সব জানানো হয়েছে।” রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, “হাসপাতালে চালু অ্যাম্বুল্যান্স থাকলে তা রোগীর প্রয়োজনে দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না।” বুধবার আদালতে তোলা হলে অবশ্য চার ধৃতই জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।

diamond harbour hospital vandalism ambulance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy