রোগীকে নিয়ে ভিন্ রাজ্যের হাসপাতালে যাবেন বলে ঠিক করেছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু সেই হাসপাতালে পৌঁছবেন কী করে বা সেখানে গিয়ে কার সঙ্গে দেখা করবেন, সেটা বুঝতে না-পেরে তাঁরা দিশাহারা।
এই অসহায়তার অবসান ঘটতে চলেছে। মাউসে এক বার ক্লিক করলেই এ বার জানা যাবে সব কিছু। দেশের কোন হাসপাতালে কোন কোন রোগের চিকিৎসার ভাল ব্যবস্থা আছে, সেখানে কোন কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন, অস্ত্রোপচারের খরচ কী সব কিছুরই সুলুক-সন্ধান দেবে একটি ই-পোর্টাল। এ মাসেই মোদী সরকার চালু করতে চলেছে ‘ন্যাশনাল হেল্থ পোর্টাল’ (nhp.gov.in)। তাতে সাধারণ মানুষের জন্য থাকবে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সবিস্তার তথ্য। শুক্রবার কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল আয়োজিত ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক রোগী নিরাপত্তা কংগ্রেস’-এ যোগ দিয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল হেল্থ পোর্টালের প্রকল্প অধিকর্তা সুপ্তেন্দ্রনাথ সর্বাধিকারী।
জাতীয় নলেজ কমিশন দেশে এই ধরনের হেল্থ পোর্টাল চালু করার সুপারিশ করেছিল সাত বছর আগে। তখন ছিল ইউপিএ সরকার। কিন্তু সরকারি লাল ফিতের ফাঁসে সেই সুপারিশ রূপায়ণ করতে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় এসেই ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ার উপরে জোর দিয়েছে। হেল্থ পোর্টাল চালু করার সিদ্ধান্তকে তারই অঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের বেশির ভাগ ভাষায়, সব প্রদেশের সব বয়সের মানুষ যাতে এই পোর্টাল থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য পান, সেটাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। সুপ্তেন্দ্রনাথবাবু জানান, দেশের পরিচিত হাসপাতালগুলিতে রোগী দেখাতে চাইলে এই পোর্টাল মারফত যাতে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করা যায়, সেই ব্যবস্থা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দিল্লি পুরসভার অন্তর্গত সব হাসপাতাল এই ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে পোর্টালের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি পরামর্শ করার বা অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও রাখা হবে। “তবে এই পোর্টাল ভাল ভাবে পরিচালনা করার জন্য দেশে প্রস্তাবিত ‘জাতীয় ই-হেল্থ অথরিটি’ দ্রুত গঠিত হওয়া প্রয়োজন,” বলেছেন সুপ্তেন্দ্রনাথবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy