তালাবন্ধ নয়া ভবন। —নিজস্ব চিত্র।
উদ্বোধন হয়েছিল ঘটা করে। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। কিন্তু নতুন ভবন এখনও চালু হল না। চিত্রটি হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের। এই ব্লকের পাঁচটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন ভবন চালু না হওয়ায় এখনও পুরনো অস্বাস্থ্যকর ঘর থেকেই দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এতে সমস্যায় পড়েছেন বিশেষ করে মহিলা ও প্রসূতিরা। অথচ তাঁদের কথা মাথায় রেখেই জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির নতুন ভবন তৈরি করা হয়।
দক্ষিণ দুইল্যা, থানামাকুয়া-চন্দ্রবাটি, ঝোড়হাট-বাসুদেবপুর, কন্যামণি এবং বসুদেববাটিতে পাঁচটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরি হয়। নবনির্মিত ভবনগুলিতে রোগীদের বসার জায়গা, ড্রেসিং রুম, শৌচাগার করা হলেও নেই বিদ্যুত্ সংযোগ ও পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা। গত অগস্ট মাসে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু কোনও ভবনে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুত্ সরবরাহ বা পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা। ফলে তালাবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে ভবনগুলি। পুরনো উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলছে।
কন্যামণিতে পুরোন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল এক কামরার একটি পাকা ঘরে চলছে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ। প্রসূতিদের বসার জায়গা না থাকায় তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। নেই শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। কর্মীদের অভিযোগ, বর্ষাকালে ছাদ থেকে জল পড়ে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। একই হাল অন্যান্য পুরোন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির। সাঁকরাইলের বিডিও প্রসেনজিত্ ঘোষ সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, “আমরা বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য আবেদন করেছি। জল সরবরাহের ব্যবস্থাও হচ্ছে। আশা করি নতুন ভবনগুলি শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy