Advertisement
E-Paper

জেই-র সংক্রমণে জয়নগরের শিশুর মৃত্যু ন্যাশনালে

উত্তরবঙ্গে নতুন করে আর কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। তবে দক্ষিণে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় এসমা খাতুন নামে একটি শিশুর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৬

উত্তরবঙ্গে নতুন করে আর কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। তবে দক্ষিণে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় এসমা খাতুন নামে একটি শিশুর।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের জীবনপুকুরের বাসিন্দা এসমা জ্বর এবং খিঁচুনি নিয়ে গত সোমবার ন্যাশনালে ভর্তি হয়েছিল। মঙ্গলবারেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, এসমার শরীরে যে-সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, সেগুলো এনসেফ্যালাইটিসের। কিন্তু তখনও তার রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। বুধবার সকালে রিপোর্ট আসার পরে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, এসমার জাপানি এনসেফ্যালাইটিসই হয়েছিল। এই নিয়ে গোটা রাজ্যে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৭। তবে এ দিন উত্তর বা দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে আর কারও ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।

নতুন সংক্রমণের খবর না-এলেও চিকিৎসাধীনদের নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি। আপাতত কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও তিনটি শিশু জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে এক জন আছে এসএসকেএমে, এক জন স্কুল অব ট্রপিক্যান মেডিসিনে এবং তৃতীয় জনের চিকিৎসা চলছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওদের মধ্যে ট্রপিক্যালে ভর্তি সোনারপুরের বাসিন্দা সোনু শাহের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা। সোনুর ক্ষেত্রেও সংক্রমণটা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। কারণ, নিকট অতীতে সে উত্তরবঙ্গ বা বিহারের কোথাও যায়নি। এসমার ক্ষেত্রেও ধন্দটা ছিল একই ধরনের। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার সোনারপুরে সোনুর বাড়ির এলাকায় ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। নেওয়া হবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও।

স্বাস্থ্য দফতরের পরিদর্শকেরা শনিবার থেকেই সোনারপুরে সোনুর এলাকায় দফায় দফায় যাচ্ছেন। শিবির তৈরি করে এনসেফ্যালাইটিসের বিপদ সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা চলছে। ওই অঞ্চলে ধানখেত আছে। সেখানে মশার উপদ্রব কতটা, শুয়োর পালন হয় কি না সব বিষয়েই খোঁজখবর চলছে। এ দিন সকালে সোনুদের এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে পারেন, সোনুর দিদি নাজমা খাতুনেরও জ্বর হয়েছে। এই নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, “ওখানে কয়েকটি পরিবারে জ্বরের রোগী রয়েছে। সকলের রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু রোগের উৎস স্পষ্ট নয়।”

japanese encephalitis kolkata calcutta national medical college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy