Advertisement
১৮ মে ২০২৪

টাকা তুলে চক্ষু শিবির, ধৃত দুই

ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বারিকুল থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন বাবলু তরফদার ও লব মাহাতো। বছর ৩৮ এর বাবলুর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুর এলাকায়। লবের বাড়ি বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার খামানি গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলে বারিকুল থানার মৌলাশোল গ্রামের প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া এলাকায় তাঁদের প্রথমে আটক করেন গ্রামের মানুষ। খবর পেয়ে বারিকুল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পরে গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারিকুল শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৭
Share: Save:

ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বারিকুল থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন বাবলু তরফদার ও লব মাহাতো। বছর ৩৮ এর বাবলুর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুর এলাকায়। লবের বাড়ি বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার খামানি গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলে বারিকুল থানার মৌলাশোল গ্রামের প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া এলাকায় তাঁদের প্রথমে আটক করেন গ্রামের মানুষ। খবর পেয়ে বারিকুল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পরে গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহরায় বলেন, “ওই দুই যুবক মৌলাশোল গ্রামে গিয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে কুপনের মাধ্যমে কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসী ওই দু’জনকে আটক করে। চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং চশমা দেওয়ার নাম করে তাঁরা টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। ওই দুই যুবকের কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে।” বুধবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ও বিবেকানন্দ সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঁড়িয়ে গত রবিবার মৌলাশোল গ্রামে গিয়েছিলেন বাবলু ও লব। প্রাথমিক স্কুল লাগোয়া এলাকায় বিনামূল্যে একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবির করা হবে বলে জানান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ জন্য গ্রামের প্রায় শ’খানেক বাসিন্দার কাছ থেকে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের নামাঙ্কিত ১০ টাকার একটি করে কুপন দেওয়া হয়। বলা হয় মঙ্গলবার ওই শিবির করা হবে, গ্রামবাসী উজ্জ্বল ঘোষ, স্বপন ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওই দুই যুবক শিবির করতে গ্রামে এলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও চিকিত্‌সক ছিল না। চিকিত্‌সক খুব তাড়াতাড়ি আসছেন বলে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের তারা অপেক্ষা করতে বলেন। শেষে দুপুর ২টা নাগাদ বাবলু নিজেই রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা শুরু করে দেন। এমনকী চক্ষু পরীক্ষা করে চশমা কেনার পরামর্শও দেন। স্থানীয় বাসিন্দা সব্যসাচী ঘোষ, বলাই মাসান্ত, অপূর্ব আকুলিদের দাবি, “চশমা কেনার জন্য অনেকের কাছ থেকে ওরা অগ্রিম বাবদ ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেন। কুপনের উল্টো দিকে পাওয়ার লিখে দেন। আগামী শনিবার ফের গ্রামে এসে চশমা দিয়ে যাবেন বলে জানান।” চিকিত্‌সক ছাড়াই এ ভাবে চক্ষু পরীক্ষার ব্যাপারে কয়েকজন তাঁদের চ্যালেঞ্জ করতেই ওঁরা ঘাড়বে যান। এরপর গ্রামের মানুষ তাঁদের আটকে রেখে স্থানীয় মণ্ডলডিহা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফাঁড়ি ও থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী সব্যসাচী ঘোষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুপন ও চশমা দেওয়ার জন্য অগ্রিম বাবদ কয়েক হাজার টাকা তুলেছেন ওই দুই যুবক। চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে নাম করে যে গ্রামের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে তা প্রথমে বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসী। এসডিপিও (খাতড়া) জানিয়েছেন, ওরা যে প্রতিষ্ঠানের নাম করে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে টাকা তুলছিল সে সম্পর্কে বিশদে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে চেষ্টা করেও ওই দুই যুবকের বক্তব্য বা ওই প্রতিষ্ঠানগুলির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

eye camp arrest barikul
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE