স্বাস্থ্য দফতর, প্রতিবন্ধী কমিশন এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপে বন্দিদশা ঘুচল আঁখির। অন্য রোগিণীদের বিরক্ত করেন তিনি, এই অভিযোগে গত এক মাস নগ্ন অবস্থায় একটা ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এই খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পরে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধি দল পাভলভ পরিদর্শন করেন। কেন আঁখির সঙ্গে ওই আচরণ করা হয়েছে, সুপার সুবোধরঞ্জন বিশ্বাসের কাছে সে বিষয়ে কৈফিয়ত চান তাঁরা। আঁখির সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অন্য ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বহু রোগীই তাঁদের কাছে হাসপাতাল কর্মীদের দুর্ব্যবহার, আধপেটা খাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে অভিযোগ করেন। প্রতিনিধি দল যাওয়ার পরে আঁখিকে ওই ঘর থেকে মুক্তি দিয়ে ওয়ার্ডে আনা হয়।
পরে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “মানসিক রোগীদের আলাদা ঘরে বন্ধ করে রাখার ভাবনাটা গোটা পৃথিবী জুড়েই এখন নিষিদ্ধ। কেন পাভলভ কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।”
রাজ্য মহিলা কমিশন, প্রতিবন্ধী কমিশন এবং মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরাও এ দিন পাভলভ পরিদর্শন করেন। পরে তাঁদের তরফে রত্নাবলী রায় বলেন, “আমরা বহু রোগিণীর সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেই বলেছেন, হাসপাতালের নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা অন্য রোগিণীদের বশে রাখার জন্য আঁখিকে দিয়ে তাঁদের মার খাওয়াতেন। পরে ওই রোগিণীরা আঁখিকে পাল্টা মারতে এলে আঁখিকে একটা ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হত। এটা শুধু মর্মান্তিক নয়, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আঁখির কাছে পৌঁছনোর আগে প্রায় ৪৫ মিনিট আমাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে আঁখিকে পোশাক পরানো হয়। কারণ আমরা যখন আঁখিকে দেখলাম, তখন তার পরনে একেবারে নতুন একটা পাটভাঙা পোশাক। ওয়ার্ডের সমস্ত রোগিণীরই মাথা ন্যাড়া। এটাও আমাদের খুব ভাবিয়েছে।”
দূষণ বন্ধের দাবি রাধানগরে
স্কুল চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োর। অপরিষ্কার নালা-নর্দমায় বাড়ছে মশা-মাছি। স্থানীয় দোকান-বাজারে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। এলাকায় ছড়াচ্ছে দূষণ। এমনই বেশ কয়েকটি অভিযোগে মঙ্গলবার রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারকিলিপি দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের পক্ষে দীনবন্ধু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, স্কুলে মিড-ডে মিল হয়। অথচ ওই স্কুল চত্বরে অবাধে শুয়োর ঘুরে বেড়ায়। স্কুলের ভিতরে শুয়োর ঢোকা বন্ধ করা যায়নি। নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় নালা-নর্দমা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে তাই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালাম।” ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী ঠাকুর বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy