‘স্নেক বাইট ট্রিটমেন্ট সেন্টার ও স্নেক বাইট ট্রেনিং সেন্টার’ তৈরির কাজ চলছে হাসপাতালে। অথচ বাঁচানো গেল না আনোয়ারকে। গত শুক্রবার গোসাবার তারানগরের বাসিন্দা সাইফুল সর্দারের তিন বছরের ছেলে আনোয়ারকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে কলকাতায় রেফার করে দেন বলে অভিযোগ। পথেই মৃত্যু হয় শিশুটির। আনোয়ারকে গত শুক্রবার বিষধর সাপে কামড়ায়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা কীসের কামড় বুঝতে না পেরে তাকে ক্যানিং হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগ, ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অনির্বাণ দাস প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করে একটি এভিএস দিয়ে তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে রেফার করে দেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের সুপার বারণ করা সত্ত্বেও ওই চিকিৎসক সে কথা না শুনে শিশুটিকে অন্যত্র রেফার করেন। সাপের কামড়ে ওঝা-গুণিনের বদলে হাসপাতালের চিকিৎসার পক্ষে প্রচার চালানো ক্যানিংয়ের একটি সংস্থা। আনোয়ারের মৃত্যুর প্রতিবাদে তাঁরা শনিবার ক্যানিং হাসপাতালের সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। সংস্থার সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর ক্যানিং হাসপাতালকে সাপে কামড়ানোর চিকিৎসার মডেল হিসেবে গড়ে তোলায় উদ্যোগী হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় মানুষের মধ্যে হাসপাতাল বিষয়ে আস্থা কমাচ্ছে।” রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক্সপার্ট গ্রুপের (এমডিইজি) চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র বলেন, “সুন্দরবন অঞ্চলে সাপে কামড়ানোর প্রবণতা খুব বেশি বলে এই হাসপাতালকে ‘স্নেক বাইট’ ইউনিট গড়ার আদর্শ হিসেবে ভাবা হয়েছে। সেখান থেকে রোগীকে রেফার করে দেওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেব।” অভিযুক্ত চিকিৎসক অনির্বাণবাবু এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি। হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সরকার এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার জানান, পুরো বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy