ধৃত পাপ্পু আহমেদ।—নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ তুলে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে। শনিবার রাতে বর্ধমান স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু নামে ওই তৃণমূল নেতাকে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শেফালি বেগমের স্বামী তিনি। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম প্রিয়াঙ্কা বসু শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৪ নভেম্বর শহরের রেল কলোনি এলাকার মহম্মদ হায়দর নামে এক ব্যক্তি নিজের বড়িতেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই সঠিক সময়ে চিকিত্সা না হওয়ার অভিযোগ তুলে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালান মহম্মদ হায়দরের আত্মীয়রা। এক প্রবীণ চিকিত্সক, নার্স এমনকী হাসপাতালের ফাঁড়ির পুলিশকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।পরে হাসপাতালের সুপার উত্পল দাঁ লিখিত অভিযোগে জানান, তৃণমূল নেতা পাপ্পু আহমেদের নেতৃত্বে ওই ভাঙচুর চালানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, হাসপাতালের জরুরি চিকিত্সা ভন্ডুল করার চেষ্টা ইত্যাদি ধারায় মামলা করে পুলিশ।
রবিবার আদালতে তোলার পথে যদিও পাপ্পু দাবি করেন, ওই দিন হাসপাতালে ছিলেনই না তিনি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পিছনে দলের এক গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে বলেও তাঁর দাবি। এ দিন আদালতেও তিনি আবেদন করেন, তার দু’বছরের ছেলে অসুস্থ। প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পেশ করেন তিনি। এরপরেই আদালত সপ্তাহে একদিন থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে কুড়ি দিনের জন্য তার জামিন মঞ্জুর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy