এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপে দক্ষিণ দিনাজপুরেও মৃত্যুর খবর মানল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। চলতি জুলাই মাসে এজেলার বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা দু’জনের এনসেফ্যালাইটিস রোগে মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত এক কিশোরকে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে ওই কিশোর সেখানে চিকিৎসাধীন। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মণ্ডল বলেন, “গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা মানিক সরকার নামে ১৪ বছরের ওই কিশোর এনসেফ্যালাইটিস রোগের উপসর্গ নিয়ে গত ৪ জুলাই বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।”
গত ১৯ জুলাই কুমারগঞ্জের বাসিন্দা গৃহবধূ সাইনা বিবি (২৮) বালুরঘাট হাসপাতালে মারা যান। গত ৭ জুলাই একই রোগে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাটের বোল্লা অঞ্চলের রায়পুর গ্রামের দু’বছরের শিশু সোনালী বাস্কের মৃত্যু হয়। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সাধারণ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের প্রশাসনিক ভবনে ডায়েরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি বৈঠক করা হয়। জেলাস্তরের এই বৈঠকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত বিভাগের আধিকারিক, বিডিও, সরকারের শিশু বিকাশ প্রকল্পের সিডিপিও-রা ছিলেন। জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই থেকে ৯ অগস্ট পর্যন্ত ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালানো হবে।”
এ দিনই মালবাজার শহরে মশা মারতে কামানে ধোঁয়া ছাড়া হয়। পুর এলাকায় শুয়োর ধরতে আসরে নেমে পড়েছে পুরকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ৫টি শুয়োর আটক করেন। এদিকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার ২৬০জন রোগী দেখিয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সাত জন রোগীর দেহে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। প্রত্যেককেই মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ির জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা জগন্নাথ সরকার। জলপাইগুড়ি শহরে পুরসভার শুয়োর ধরা অভিযান অব্যাহত। পুরকর্মীরা ১৮টি শুয়োর আটক করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy