সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক তাঁদের অনেকেই পুরনো চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নতুন বেতনক্রম নির্ধারিত না হওয়ায় বেতন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের বেতন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল স্কুল শিক্ষা দফতর।
স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের তরফ থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা অবিলম্বে পুরনো চাকরিতে যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের বেতনক্রম তৈরি করেন। এই শিক্ষকেরা প্রাথমিক উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে ২০১৬-র আগে যেখানে শিক্ষকতা করতেন সেই স্কুল বা তার পার্শ্ববর্তী কোনও স্কুলে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক প্রতাপরঞ্জন মিত্র ২০১৬ এর আগে শিক্ষকতা করতেন দক্ষিণ দিনাজপুরে পতিরাম হাই স্কুলে(গ্র্যাজুয়েট স্কেল)। ২০১৯ সালে হুগলি জেলার কিঙ্করবাটি এগ্রিকালচারাল স্কুলে(পিজি স্কেল) শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন। এর পরে তিনি উৎশ্রীর মাধ্যমে কলকাতা জেলায় বদলি হয়ে চলে আসেন। এখন তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুলে পুনর্বহাল করা হয়েছে। প্রতাপ বলেন, ‘‘আমরা চাকরিতে ফিরে গেলেও আমাদের বেতনক্রম এখনও পর্যন্ত নির্ধারণ না হওয়ায় চলতি মাসের বেতন আমরা সময় মতো পাব না। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চাকরি করার ফলে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত এই সমাধান না করলে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।’’
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একজন শিক্ষক আগে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন, কিন্তু এখন ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে চাকরি করছেন। তাহলে ওই শিক্ষক যখন ফের প্রাথমিক স্কুলে ফিরে যাবেন। তখন তার বেতন মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের মতো হবে না। এখন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের যে বেতন সেটা তিনি পাবেন। এই বেতনক্রম দ্রুত নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা সমস্যার সমাধান হল। আরও বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেল। আমরা তাই শুক্রবার কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি, যাতে সমস্যাগুলো মিটিয়ে দেওয়া যায়।’’