Advertisement
E-Paper

পরীক্ষার সূচি না মেনে বিপাকে স্কুলগুলি! জেলা পরিদর্শকদের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠাল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ

পর্ষদ নির্ধারিত সূচি না মেনে বেশ কিছু স্কুল পরীক্ষা নিতে শুরু করে দিয়েছে। কিছু স্কুলে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা জানা যায়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

পর্ষদের নির্দেশ অমান্য করে করে সময়ের আগে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে স্কুলগুলির থেকে তথ্য চেয়ে পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ১ ডিসেম্বরের আগে কোন কোন স্কুল পরীক্ষা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছ।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি (অ্যাকাডেমিক) ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায়ের তরফে সমস্ত জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার পরই সমস্ত স্কুলের কাছে তথ্য চেয়েছেন জেলা পরিদর্শকেরা। কলকাতায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে স্কুল রয়েছে ৫২২টি। ইতিমধ্যে ৩০০ বেশি তাঁদের চিঠির জবাব দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে বেশ কিছু স্কুল সূচি ভেঙে সময়ের আগে পরীক্ষা নিয়েছে। কেন নিয়ম ভেঙে আগে পরীক্ষা নিতে হয়েছে, তার কারণও দর্শানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা সমস্ত তথ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এ প্রসঙ্গে ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধানশিক্ষক রাজা দে বলেন, “আমাদের কাছে কারণ দর্শানোর চিঠি এসেছে। লিখিত পরীক্ষাগুলি আমরা নিয়ম মেনে ১ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই নিচ্ছি। কিন্তু এই মুহূর্তে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। অনেকেই বিএলও-র কাজে ব্যস্ত। ফলে সব নিয়ম মান্য করার মতো পরিস্থিতি নেই।”

স্কুলগুলিতে কবে হবে তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা— তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বহু সরকারি এবং সরকারপোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময়ের আগেই পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

সূত্রের খবর, পর্ষদ নির্ধারিত সূচি না মেনে বেশ কিছু স্কুল পরীক্ষা নিতে শুরু করে দিয়েছে। কিছু স্কুলে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা জানা যায়। অথচ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সামেটিভ পরীক্ষা হওয়ার কথা ১ ডিসেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষা এগিয়ে আনলে পড়ুয়াদের ক্লাসের সংখ্যা কমে যাবে।

এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল স্কুলগুলিকে। নিয়ম ভাঙলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। সূত্রের খবর, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করে প্রধানশিক্ষকদের দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। স্কুলের জবাবদিহিতে সন্তুষ্ট না হলে প্রধানশিক্ষকে সাসপেন্ড করা হতে পারে পর্ষদের তরফে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এসআইআর আবহে এ বছর পরিস্থিতি জটিল। তবে আমরা নির্দিষ্ট সময় পরীক্ষা নিচ্ছি।”

school
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy