নবম-দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়ল না শূন্যপদ। শিক্ষা দফতর থেকে পাঠানো সংশোধিত শূন্যপদের তালিকা অপরিবর্তিত রইল। এসএসসি সূত্রের খবর, আগামী সোমবার, ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত হতে চলেছে নথিযাচাই ও ইন্টারভিউ তালিকা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এসএসসি নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল। তার আগে একটি শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে ২৩,২১২টি শূন্যপদের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই তালিকা অপরিবর্তিতই রইল।
এর আগে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সংশোধিত শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় দেখা গিয়েছিল, ৬৯টি পদ কমে গিয়েছে। নবম-দশমের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তবে, চাকরিহারা বা নতুন চাকরিপ্রার্থীরা ভেবেছিলেন কিছুটা হলেও বাড়বে সেই সংখ্যা। কিন্তু তা অপরিবর্তিত রইল। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট শূন্য পদ দাঁড়াল ৩৫,৬৫৭।
আরও পড়ুন:
নবম-দশমের পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন। অর্থাৎ, মোট ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৮ জনের ওএমআর প্রকাশ করতে বলেছে হাইকোর্ট। জন্য কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। তবে বাদ সাধছে যে বিপুল অঙ্কের খরচ। তার কারণ এই ওএমআর শিট দেখার জন্য একমাস ওয়েবসাইট খুলে রাখতে হবে। এ জন্য খরচ হতে পারে প্রায় পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই বিপুল খরচ নিয়ে তাঁরা ভাবিত।
তবে একাদশ-দ্বাদশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নবম-দশমের ক্ষেত্রে সকলের ওএমআর শিট আপলোড করতে চলেছে সরকার। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এসএসসিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ওএমআর শিট দেখার জন্য যেন মূল্য ধার্য করা হয় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে। তবে কোনও প্রার্থীকে নিজের ওএমআর শিট দেখার জন্য ফি দিতে হবে না, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে এমনই। তবে, অন্য কোনও প্রার্থীর ওএমআর-এর প্রতিলিপি দেখতে চাইলে চার গুণ ফি দিতে হবে।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ওএমআর শিট জমা পড়ে যাওয়ার পর সেটি এসএসসি-র এক্তিয়ারভুক্ত। তাই এসএসসি এটি কাকে দেখাবে সেটা কমিশনই ঠিক করতে পারে। তবে একজনের ওএমআর আর এক জনকে দেখাতে এসএসসি বাধ্য নয়। যে ভাবে আদালতের নির্দেশ আসছে তাতে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই বিকল্প পথের আলোচনা করা হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য।
যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আদৌ এই ভোটে লড়েছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ১৪১টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুমন্ত প্রামাণিক টিএমসিপি-র গবেষক সমিতির সদস্য ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগেই তাঁর সঙ্গে টিএমসিপি-র দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি। প্রার্থী হিসাবে সুমন্তকে দলের পছন্দ ছিল না। অন্য প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টাও তারা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। সুমন্তের অভিযোগ, টিএমসিপি-র অনেক ছাত্রই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে ভোট কাটার চেষ্টা করেছে। তাঁর কথায়, “আমি স্বাধীন ভাবে প্রচার চালিয়েছিলাম এবং ভাল ফল করেছি। এই প্রথম যাদবপুরে বামেদের বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থী হিসাবে এত ভোট পেয়েছি। তৃণমূল আদর্শে বিশ্বাসী ছিলাম, ভবিষ্যতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই চলব।”