‘দিদি’র মডেল নিয়ে আগ্রহী ‘আম্মা’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের মডেল এ বার তামিলনাড়ুতে অনুসরণ করছেন জয়ললিতা। বৃহস্পতিবার ভিডিও-সম্মেলন করে তিনি একসঙ্গে এই ধরনের ১০টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের উদ্বোধন করেছেন। দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আম্মা মেডিক্যাল শপ’। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যে আম্মা নামেই পরিচিত। তাঁর নামেই ওই সব দোকানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জয়ার ঘোষণা, মাত্র ৪% লাভ রাখা হবে ওই সব দোকানে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যকর্তারা এই খবরে উচ্ছ্বসিত। স্বাস্থ্যসচিব মলয় দে বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আমাদের ওষুধের দোকান প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছিল এবং অন্যান্য রাজ্যকে এই মডেল অনুসরণ করতে বলেছিল। এটা আমাদের বড় সাফল্য।” পশ্চিমবঙ্গে আপাতত এই ধরনের দোকানের সংখ্যা ৭২। চলতি বছরের মধ্যে ১১৫টি দোকান চালু হওয়ার কথা। জয়ললিতা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুতে ২০০টি ওষুধের দোকান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে জয়া ওষুধের দোকানকে নিজের নামে চিহ্নিত করায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর আগে তিনি চালু করেছিলেন আম্মা ক্যান্টিন। তাতে সাফল্য মেলায় কয়েক মাসের মাথায় বাজারে আসে আম্মার পরিশুদ্ধ জল। মে মাসে জয়ললিতা আনেন স্বল্প দামের নুন। তার পরে এই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। কল্যাণমূলক প্রকল্প শুরু করলেও জয়ললিতা নিজের প্রচার এড়াতে পারছেন না বলে বিরোধীদের কটাক্ষের সামনে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
এখনও পর্যন্ত খবর, পশ্চিমবঙ্গের মতো তামিলনাড়ুতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানগুলি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে গড়া হবে না। সেগুলো খোলা হবে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। পিপিপি বা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের বদলে দোকান চালাবে সরকার। ইতিমধ্যেই এই খাতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন জয়ললিতা। ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক-একটি বাতানুকূল দোকান তৈরি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, এ রাজ্যে দোকান খুলতে সরকারের কোনও খরচ হয়নি। শুধু জায়গা দিতে হয়েছে। বাকি খরচ করেছেন বেসরকারি অংশীদারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy