Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাসপাতালে এসে বিপাকে আত্মীয়রা

হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে শৌচাগার। রয়েছে প্রতিক্ষালয়ও। কিন্তু স্রেফ প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে তা ব্যবহার করতে পারছেন না কান্দি হাসাপাতালে আসা রোগীর পরিজনেরা। বাধ্য হয়ে তাঁদের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচেই সারতে হচ্ছে শৌচকর্ম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৫
Share: Save:

হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে শৌচাগার। রয়েছে প্রতিক্ষালয়ও। কিন্তু স্রেফ প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে তা ব্যবহার করতে পারছেন না কান্দি হাসাপাতালে আসা রোগীর পরিজনেরা। বাধ্য হয়ে তাঁদের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচেই সারতে হচ্ছে শৌচকর্ম।

কান্দি হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের সুবিধার কথা ভেবে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ থেকে ২০০১ সালে ওই হাসপাতালের জমিতে একটি শৌচাগার ও একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রতীক্ষালয়টি চালু থাকলেও কিছুদিন পর শৌচাগারটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে ফের ওই শৌচাগারটি চালু করা হয়। কিন্তু বছর খানেক আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত নভেম্বর থেকে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয়। সেই থেকে বন্ধ দুই পরিষেবা। শৌচাগার ও প্রতীক্ষালয় দু’টির রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য সমবায় সমিতি। তার জন্য লিজ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দিতে হয় জেলা পরিষদকে। সমিতির সম্পাদক গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, “আমরা বহু বার জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। কিন্তু জেলা পরিষদ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষালয় হাসপাতালের বিদ্যুতে চলেছে। কিন্তু হাসপাতালের পক্ষে ওই বিল দেওয়া সম্ভব নয় বলেই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “তবে এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আমরাও নিরুপায়।

কান্দি পুরসভা ও কান্দি, বড়ঞা, খড়গ্রাম, ভরতপুর ১ ও ২ নং ব্লকের বাসিন্দারা ছাড়াও বীরভূম ও বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু প্রতীক্ষালয় থেকেও রোগীর আত্মীয়দের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়। বীরভূমের কলেশ্বরের বাসিন্দা নির্মল দাস বলেন, “দাদুকে নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে ওই হাসপাতালে রয়েছি। রাতে টাকা পয়সা নিয়ে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে।” আরও এক রোগীর আত্মীয় রেহেনা বিবি বলেন, “তেমন সামর্থ্য নেই যে দশ টাকা দিয়ে শৌচাগারে স্নান করব। তাই বাধ্য হয়ে লোকলজ্জা ছেড়ে নলকূপের জলে বা জলাশয়ে স্নান করতে হচ্ছে।”

সমস্যার কথা স্বীকার করে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার বলেন, “ওই শৌচাগার ও প্রতীক্ষালয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরিত করার পরিকল্পনা চলছে। হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kandi kandi hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE