আমাদের বাড়ির দু’দিকেই ছিল দু’টি বিশাল মাঠ। বছরের অন্য সময় সেগুলি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার মাঠ হলেও বর্ষার সময় রূপ নিত এক পূর্ণ বয়স্ক পুকুরের। — লেখক শুভাশিষ পাল
প্রতীকী ছবি: লেখক শুভাশিষ পাল
বাংলার ঋতুচক্রে আষাঢ় এবং শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। আমাদের কাছে ছিল বৃষ্টির সময়। শীতের পর গরমের তীব্র দাবদাহ সহ্য করার সাথে সাথেই অপেক্ষায় থাকতাম কখন দেখা যাবে আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘের আনাগোনা আর পৃথিবী সিক্ত হবে সহস্রধারায়।
আমাদের বাড়ির দু’দিকেই ছিল দু’টি বিশাল মাঠ। বছরের অন্য সময় সেগুলি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার মাঠ হলেও বর্ষার সময় রূপ নিত এক পূর্ণ বয়স্ক পুকুরের। বাবা-মার নিষেধ থাকলেও সেই অস্থায়ী পুকুরে জলকেলি করা ছিল আমাদের নিত্যদিনের অভ্যেস। সেই সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিত গরমের নাম করে বর্ষার দিনে দেওয়া স্কুলের গরমের ছুটি। দিনের বেলা সদ্য সৃষ্ট পুকুরে মাছ ধরা, সাঁতার কাটা ইত্যাদির মাধ্যমে কখনও কখনও হাত-পায়ের ঘা-প্যাঁচড়ার মলমের প্রয়োজন পড়ত। আবার রাতের বেলায় ছিল ঘরের অ্যাসবেস্টারের চালে বৃষ্টির ঝমঝম ঝঙ্কার শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ার আনন্দ। যেই স্মৃতিগুলি জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে আজও মনের মণিকোঠায় অম্লান।
আজ কংক্রিটের ছাদের নীচে শুয়ে বৃষ্টির রাতে বাল্যকালের অ্যাসবেস্টারের চালের বৃষ্টির সেই মধুর শব্দ শোনার জন্য কানদু’টি যেন উদগ্রীব হয়ে থাকে। কিন্তু অ্যাসবেস্টার এখন কোথায়?
এই প্রতিবেদনটি ‘আষাঢ়ের গল্প’ কনটেস্ট থেকে সংগৃহীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy