ছবি: শাটারস্টক
অগ্রাধিকার দর্শনার্থীদের সুরক্ষায়। তাই স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের। গুজরাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও কর্মীদের মধ্যে।
সম্প্রতি গুজরাতের নর্মদা নদীর উপরে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ পরিদর্শন করতে আসা দর্শনার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন একটি পদক্ষেপ করেছে সেই রাজ্যের সরকার। বনদফতরের কাছে নির্দেশ গিয়েছে যে, নর্মদা থেকে ৩০০টি কুমিরকে স্থানান্তরিত করতে হবে। জলপথে যে সকল দর্শনার্থী ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ দেখতে চান, মূলত তাদের সুরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে।
এই কুমিরগুলি লম্বায় প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। লোহার খাঁচায় বন্দি করে তারপর ট্রাকে করে সেগুলোতে পাঠানো হবে রাজ্যের অন্যত্র। এর মধ্যেই ১২টি কুমিরকে স্থানান্তরিত করাও হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বনদফতর তরফে।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্স অমিল, বিনামূল্যে নিজের অটোতে গর্ভবতীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন এই অটো ড্রাইভার
কিন্তু এই ঘটনায় মোটেই খুশি হতে পারেননি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনের কর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যপ্রাণ বিষয়ক একটি পত্রিকার সম্পাদক বিট্টু সেহগাল, রাজ্য বন্যপ্রাণী বোর্ডের সদস্য প্রিয়ব্রত গাধভি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আরএসএসের সদর দফতরে যাওয়ার জন্যই কি ‘ভারতরত্ন’ প্রণব? দাবি জেডিএস-এর
এর আগে ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র থেকেও আকারে দ্বিগুণ ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ তৈরির কারণে স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। এরপর সরকারের এই পদক্ষেপ যে পরিবেশবিদদের কপালে আরও ভাঁজ ফেলবে, সে কথাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত অক্টোবরে ২৯৯০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত হয়েছে ১৮২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই মূর্তিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy