পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের পড়ুয়া, শিক্ষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লি। ওই দিনই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-বিক্ষোভ সামাল দিয়েছিলেন এক পুলিশ অফিসার। মাইক হাতে বিক্ষোভকারীদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক পথে হলে তিনিও তাঁদের (পড়ুয়াদের) পাশে থাকবেন। গোটা ঘটনায় আলিগড়ের ওই পুলিশ অফিসার ও জেলাশাসক চন্দ্রভূষণ সিংহের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন আইনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির আগুন। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার যে ভাবে আলিগড়ের এসএসপি আকাশ কুলহারি বিক্ষোভ সামলেছেন, তা রীতিমতো প্রশংসিত সোশ্যাল মিডিয়ায়। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচ হাজার পড়ুয়া গত শুক্রবার জেলাশাসকের কাছে মিছিল করে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে পুলিশ মিছিল আটকায়। সেখানে পড়ুয়াদের কুলহারি বলেন, ‘‘আপনারা যদি গণতান্ত্রিক পথে বিক্ষোভ দেখান, তা হলে সারা দিন আমি আপনাদের পাশে থাকব। কিন্তু যদি তা না করেন, তা হলে অন্যেরা এই আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার সুযোগ পাবে। গত কাল (বৃহস্পতিবার) ছাত্র সংসদ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, কেউ বাধা দেয়নি। আজ (শুক্রবার) আপনারা চান, জেলাশাসকের মাধ্যমে আপনাদের স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে যাক। আমি আকাশ কুলহারি, আপনাদের কথা দিচ্ছি, ওই স্মারকলিপি যেন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করব।’’ আলিগড়ের এসএসপি-র বক্তব্যের মাঝে মধ্যেই হাততালির ঝড় ওঠে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy