পটনায় অমিত শাহ। মঙ্গলবার। ছবি: শ্যামলী দে।
অবশেষে দলীয় সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে বিহারে ঘাঁটি গাড়লেন অমিত শাহ।
গত কালই দলের সাধারণ সম্পাদক তথা দিল্লির অশোক রোডের বিজেপি সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ নোটিশ জারি করেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দিল্লিতে থাকবেন না। আর সে কারণেই দলের সদর দফতরে আগামী ৫ অক্টোবর, ১৯ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর অমিত শাহর নিয়মিত জনসংযোগ কর্মসূচি, ‘জন সংবাদ’ বন্ধ থাকবে। সেই নোটিস জারি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আজ পটনা পৌঁছেছেন অমিত শাহ।
এ বার আর রাজ্য অতিথিশালা নয়, শহরের অভিজাত হোটেলে দলের তরফে ঘর ‘বুক’ করা ছিল। আপাতত সেই ঘরই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। সেখানেই দিনভর দলের রাজ্য ও জেলাস্তরের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতেও দল সভাপতি মাসখানেক ধরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। সেখানে ফল ভাল হয়েছে। বিহারেও দলের পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিতে নিজেই থাকতে চেয়েছেন সভাপতি।’’
আরএসএসের প্রথম সারির নেতারাও আগামী এক মাস বিহারে ‘প্রবাস’ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই পটনায় ঘাঁটি গেড়ে আছেন সঙ্ঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবোলে। এ ছাড়াও বেশ কয়েক জন সঙ্ঘনেতা নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন। সূত্রের খবর, পটনার রাজেন্দ্র নগরের প্রদেশ সঙ্ঘ কার্যালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অমিতের। আগামী কাল সকালে রাজেন্দ্রনগরের শাখা ময়দানে সঙ্ঘ-পরিবারের নেতাদের সঙ্গে ‘সমন্বয় বৈঠক’ করার কথা তাঁর। অমিত শাহ ছাড়াও বিজেপির সংগঠন সম্পাদক রামলাল পটনায় এসেছেন। তিনি নিজে সঙ্ঘের সর্বক্ষণের কর্মী। টানা সাত দিন ধরে তিনি পটনায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘ-পরিবারের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামলালকেই।
বিজেপি সূত্রের খবর, প্রথম দিনে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই মূলত কথা বলেছেন অমিত শাহ। কেন তাঁদের ক্ষোভ, তা শুনেছেন। কোথায় প্রার্থী নির্বাচনে কী কী সমস্যা হয়েছে, তাও জানতে চাইছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দলের সাংসদ রাজকুমার সিংহ এবং বিধায়ক বিক্রম কুঁয়ার টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। অমিত শাহ প্রথমে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে নির্বাচনের কাজে লাগাতে চাইছেন। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধদের বলা হয়েছে, নির্বাচনে জিতলে তাঁদের সরকারি বিভিন্ন কাজে লাগানো হবে। এ দিন ২০ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy