Advertisement
E-Paper

নিপটা দো সব! সিমিকাণ্ডে নতুন অডিওয় ‘সাজানো’ তত্ত্ব জোরাল

ভোপালে আট সিমি জঙ্গির খতমের ঘটনায় আরও এক চাঞ্চল্যকর ‘ডকুমেন্ট’ সামনে এল। তথাকথিত এনকাউন্টার চলাকালীনই একটি রেকর্ডেড অডিও ঘিরে ফের সরগরম রাজনীতি।

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:০৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ভোপালে আট সিমি জঙ্গির খতমের ঘটনায় আরও এক চাঞ্চল্যকর ‘ডকুমেন্ট’ সামনে এল। তথাকথিত এনকাউন্টার চলাকালীনই একটি রেকর্ডেড অডিও ঘিরে ফের সরগরম রাজনীতি। দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও কন্ট্রোলরুমের মধ্যে যে কথোপকথন হয় সেটাই ওই অডিওটিতে ধরা পড়েছে। সেই অডিওটিই ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

কী রয়েছে ওই অডিওতে?

কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিশকর্মীদের কাছে ওয়াকিটকিতে হিন্দিতে নির্দেশ আসে ‘নিপটা দো সব’ অর্থাত্ সব ক’টাকে শেষ করে দাও। এ পাশ থেকে কন্ট্রোলরুমে খবর যায়, ‘পাঁচ তো মর গায়ে’ অর্থাত্ পাঁচ জন তো মরে গেছে! যে আট জঙ্গিকে পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল, তার মধ্যে পাঁচ জনকে তখনই খতম করে দেওয়া হয়। অডিও-র তথ্য অনুযায়ী তখনও বাকি তিন জঙ্গিকে মেরে ফেলা হয়নি। শুধু কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন এনকাউন্টার স্পেশালিস্টরা। তবে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফের অডিওতে ভেসে ওঠে ‘আঠো মর গায়ে’। অর্থাত্ তত ক্ষণে আট জনকেই খতম করে দিয়েছে পুলিশ। তার পরই উল্লাসের ঢেউ। হাততালি। ফের কন্ট্রোলরুমে এ পাশ থেকে বার্তা যায়, ‘স্যর বাধাই হো, আঠো মর গায়ে’।

এই অডিও বার্তা নিয়েই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। সিমি জঙ্গিদের খতম করার পর থেকেই অনেকগুলো প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্নগুলো জর্জরিত করে তুলেছে শিবরাজ সরকারকে। বিরোধীরাও এটাকে ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’ বলে সরব হয়েছে।

সিমি জঙ্গিদের ঘিরে ফেলার পরই তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, ঘটনার পর এই তত্ত্বই সামনে আনা হয়েছিল। কিন্তু পরে বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই এই সংঘর্ষের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায়, পলাতক জঙ্গিদের কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। নিরস্ত্র থাকা সত্ত্বেও কেন ওই জঙ্গিদের গ্রেফতার না করে গুলি করে মারা হল? তোপের মুখে পড়ে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার আর তার পুলিশ। কঠোর সমালোচনার মুখে মধ্যপ্রদেশ এটিএস-এর প্রধান সঞ্জীব শামি তো বলেই ফেলেন, “ওরা নিরস্ত্রই ছিল! তো কী?” সঞ্জীব সে দিনের অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর এ হেন মন্তব্যেও তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে।

গত ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে এক কারারক্ষীকে খুন করে ভোপালের সেন্ট্রাল জেল থেকে পালিয়েছিল আট সিমি জঙ্গি। এদের মধ্যে তিন জন ২০১৪ সালেও খান্ডোয়া জেল ভেঙে পালিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণ, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং ডাকাতি-সহ অনেক অপরাধে নাম ছিল এদের। আট জঙ্গি জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি। পর দিন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আট জনেরই।

আরও খবর...

ধাক্কার মরসুমে সেই রথেই ভরসা মোদীর

Bhopal SIMI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy