অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
এ বার দিল্লির মেট্রোতে হস্তমৈথুনের ঘটনার শিকার হতে হল এক মহিলাকে। গুরুগ্রামের হুডা সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশনে। অভিযোগ, ঘটনার সময় অন্য যাত্রীরা কেউই এগিয়ে আসেননি মহিলার সম্মানরক্ষায়। মহিলা চিৎকার করার পরেও তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি পুলিশ। ফলে, অসভ্যতা করার পর পালিয়ে যায় যুবকটি। এর আগে দিল্লির বাসেও হস্তমৈথুনের ঘটনা ঘটেছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে ট্যাগ করে তাঁর টুইটে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন ওই মহিলা। লিখেছেন, "আমি ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি লজ্জিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যখন মহিলাদের মেট্রোয় ফ্রি-রাইডের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন, তখন রাত সাড়ে ন'টাতেও এই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটছে দিল্লির মেট্রোয়।"
কী ভাবে ঘটেছিল ঘটনাটা?
মহিলা তাঁর টুইটে লিখেছেন, "এসক্যালেটরে চেপে আমি স্টেশনে নেমে আসছিলাম। ওই সময়েই আমার পিছনে দাঁড়িয়ে এক যুবক অসভ্যতা শুরু করে। আমি ঘুরে দাঁড়িয়ে চড় মারলাম যুবকটিকে। তাতে যুবকটি আদৌ দমে গেল না। বরং আমার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিল। আমাকেই দায়ী করতে শুরু করে দিল অশালীন আচরণের জন্য। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে অন্য যাত্রীদের চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। কেউ এগিয়ে এলেন না আমাকে সাহায্য করতে। চেঁচিয়ে স্টেশনে থাকা পুলিশের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু পুলিশও এগিয়ে এল না। এই সবের মধ্যেই পালিয়ে যায় ছেলেটা।"
মহিলা তাঁর ফেসবুক পোস্টে এও জানিয়েছেন, তিনি স্টেশন থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশ চৌকির কাছে গিয়েছিলেন নালিশ ঠুকতে। কিন্তু এক জন পুলিশকর্মীকেও সেখানে দেখতে পাননি। গুরুগ্রাম পুলিশের ফেসবুক পেজেও ঘটনাটি জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তা পড়ে পুলিশের তরফে কোনও জবাব আসেনি বলে মহিলার অভিযোগ।
আরও পড়ুন- লন্ডনের বাসে মহিলা এমপির সামনে হস্তমৈথুন
আরও পড়ুন- দিল্লির বাসে প্রকাশ্যে হস্তুমৈথুন, পুলিশের হাতে যুবককে তুলে দিলেন তরুণী
দিল্লি মেট্রোর দেখভাল করে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, দিল্লি মেট্রোয় যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী, যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে।
পরে দিল্লি পুলিশের তরফে একটি টুইটে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা হবে।
মহিলা তাঁর ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন, "মেট্রো স্টেশনে কেন পর্যাপ্ত সিসিটিভি নেই? ছেলেটা পালিয়ে যেতে পারল কী ভাবে?"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy